রক্ষণশীল সংবিধান বাতিল করলো চিলির নাগরিকেরা

সংগৃহীত ছবি

রক্ষণশীল সংবিধান বাতিল করলো চিলির নাগরিকেরা

অনলাইন ডেস্ক

রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য প্রস্তাবিত প্রগতিশীল সংবিধান বর্জন করার মাত্র এক বছরের মাথায় নতুন করে প্রস্তাবিত রক্ষণশীল সংবিধানও বাতিল করলো চিলির জনগণ। এর ফলে দেশটি এখন স্বৈরশাসক পিনোচেতের আমলে তৈরি করা সংবিধান অনুযায়ীই পরিচালিত হবে। খবর আল জাজিরার।

রোববার দেশটিতে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে ৫৫ শতাংশ নাগরিক রক্ষণশীল সংবিধানটির বিপক্ষে এবং ৪৪ শতাংশ এর পক্ষে ভোট দেন।

সংবিধানটি গৃহীত হলে চিলির নাগরিকদের জন্য সম্পত্তির অধিকার, মুক্তবাজার অর্থনীতি, অভিবাসন এবং গর্ভপাতের মতো বিষয়গুলোতে পরিবর্তন আসতো।

অপরদিকে, ২০২২ সালে চিলির জনগণ যদি প্রগতিশীল সংবিধান গ্রহণ করতো তবে চিলি একটি বহুজাতিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতো। পাশাপাশি, দেশটির আদিবাসীদের জন্য স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গড়ে উঠার পাশাপাশি লিঙ্গ সমতা এবং পরিবেশনীতির ক্ষেত্রেও আমূল পরিবর্তন সাধিত হতো।

চিলির বামপন্থী প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বরিক ভোটের আগে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের প্রতিজ্ঞা করেছিলেন এবং সংবিধানে আরও অনেক পরিবর্তন আনার কথা বলেছিলেন।

ভোটাভুটির পর চিলিকে তিনি একটি বিভক্ত ও বিক্ষিপ্ত রাষ্ট্র বলে অভিমত দেন।

ভোটের আগে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নতুন চিলি গড়ে তোলার এই মহাযজ্ঞে আমি আপনাদের সবাইকে অংশ নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। নতুন চিলিতে সবার জন্য প্রগতি, সামাজিক সুবিচার এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।  আমাদের অংশগ্রহণ চিলির জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ।

ভোটের পর ফলাফল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন চিলির রিপাবলিকান দলের নেতা হোসে আন্তোনিও কাস্ত। তিনি বলেন, এই সংবিধান যে পূর্ববর্তী যেকোনো সংবিধানের চেয়ে ভালো হবে সেটি আমরা জনগণকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি।

২০১৯ সালে প্রায় ১০ লাখ মানুষ চিলির রাজপথে সমবেত হয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের দাবী তোলার পর দেশটির পিনোচেত যুগের সংবিধান পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম ধনী ও সুস্থির রাষ্ট্র হওয়ার পরেও চিলিতে ধনী ও গরীবের মধ্যে বিশাল ব্যবধান রয়েছে। গরীবদেরকে ধনীরা শোষণ করছে এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের রেফারেন্ডামে দেশটির ৮০ শতাংশ নাগরিক পিনোচেত যুগের সংবিধান পরিবর্তনের পক্ষে মত দিয়েছিলো।  

news24bd.tv/ab