টুর্নামেন্ট সেরা হয়ে যা বললেন কিংসের রাকিব

সংগৃহীত ছবি

স্বাধীনতা কাপ 

টুর্নামেন্ট সেরা হয়ে যা বললেন কিংসের রাকিব

অনলাইন ডেস্ক

স্বাধীনতা কাপের সেমিফাইনালে খেলেছিলেন দুর্দান্ত। ফাইনালেও ব্যতিক্রম হলো না। বসুন্ধরা কিংস ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন আজ মোহামেডানকে নাচিয়ে ছেড়েছেন। কিংসকে সমতায় ফেরানো গোলটি আসে তার পা থেকেই।

সেই মোমেন্টাম ধরে পরে আরও একটি গোল করে ২-১ গোলে ফাইনাল জেতে কিংস।

স্বাধীনতা কাপে এবার প্রায় প্রতি ম্যাচেই রাকিবের এমন পারফরম্যান্স দেখা গেছে। যারপরনাই টুর্নান্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এমন স্বীকৃতি পেয়েছে রাকিব জানিয়েছেন, আগামীতে আরও ভালো খেলার অনুপ্রেরণা পেলেন।

বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে সাধারণত বিদেশিদেরই আধিপত্য দেখা যায়। কিন্তু সেই ধারা ভেঙে আসরের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন, আনন্দিত রাকি বললেন, ‘দশটি দল ছিল আসরে। স্থানীয় এবং বিদেশি খেলোয়াড় ছিল। এত খেলোয়াড়ের ভিড়ে আমি সেরা খেলোয়াড় হয়েছি এটা বাড়তি প্রেরণা দিচ্ছে। আগামীতে আরও দুটি টুর্নামেন্ট রয়েছে। সেখানে আরও ভালো খেলার অনুপ্রেরণা পাচ্ছি। ’

দলকে সমতায় ফেরানোর গোল নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ফাইনাল ম্যাচে গোল করাটা ভাগ্যের ব্যাপার। আমি সমতাসূচক গোলটি করতে পেরেছি এর জন্য আমার খুব ভালো লাগছে। এইরকম বড় ম্যাচে দশ জনের দল নিয়ে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলাটা কঠিন। আমরা ১১ জন নিয়ে যেভাবে খেলেছি ১০ জন নিয়েও সেভাবেই খেলেছি। ’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘প্রতিযোগিতা ভালো হয়েছে। ফাইনালে ওরাও শক্তিশালী আমরাও শক্তিশালী। প্রথামার্ধে যদি আরও গোল হতো তবে আমাদের জন্য আরও ভালো হতো। তারপরও ১০ জন নিয়ে আমার সতীর্থরা যে ফুটবল খেলেছে.. আমরা একসঙ্গে যেভাবে খেলেছি তা মাঠেই দেখা গেছে। ’

এদিকে, এ ম্যাচেও দেখা গেছে প্রশ্নবোধক রেফারিং। বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলার রফিককে লাল কার্ড দেখানো হয় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই। এরপর প্রায় পুরোটা সময় ১০ জন নিয়ে লড়েছে কিংস। এই লাল কার্ড ছাড়াও আরও কয়েকবার রেফারিং নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

রাকিবের কাছে এ বিষয়ে প্রশ্ন রাখা হলে তিনি বলেছেন, ‘রেফারিং নিয়ে কিছু বলার নেই। যা হয়েছে আপনারা সকলেই দেখেছেন। রফিকের ফাউলের পর তার সঙ্গেও প্রতিপক্ষের ফুটবলাররা ফাউল করেছেন। তখন রেফারি কোনও কার্ড দেখায়নি। এছাড়া মাঠটা তেমন ভালো না। আরও ভালো হতে পারে। মাঠের আরও পরিচর্যা করলে সামনে আরও ভালো খেলা সম্ভব। ’

news24bd.tv/SHS