সৌম্যর ১৬৯, বাংলাদেশের ২৯১

সংগৃহীত ছবি

সৌম্যর ১৬৯, বাংলাদেশের ২৯১

অনলাইন ডেস্ক

নেলসনের উইকেট ছিল ব্যাটিং স্বর্গই। তারপরও সেখানে একের পর এক উইকেট ছুঁড়ে এলেন টাইগার ব্যাটাররা। তাতে আরও একবার অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জেগেছিল। তবে সৌম্য সরকারের সরূপে ফেরার ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের দেখা পেল বাংলাদেশ।

আজ বুধবার সেক্সটন ওভালে ১ বল আগে অলআউট হয় বাংলাদেশ। তার আগে স্কোরবোর্ডে তোলে ২৯১ রান। কিউইদের মাটিতে এর আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল হ্যামিল্টনে, ২৮৮।

বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহের পুরো কৃতিত্বই সৌম্য সরকারের।

তিনবার জীবন পেয়েছেন বটে, তবে সেটা কাজে লাগিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ১৬৯ রানের অনবদ্য, চোখ ধাঁধানো এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এদিকে, এটিই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কোনো এশিয়ান ব্যাটারের সর্বোচ্চ স্কোর। আগে রেকর্ডটি ছিল ভারতের শচীন টেন্ডুলকারের।

টানা ব্যর্থতা আর অনেক সমালোচনার পর আজও বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন সৌম্য সরকার। নিউজিল্যান্ড টসে জিতে সফরকারী দলকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে চাপে ফেললেও সৌম্য ছিলেন অবিচল। আগের দুই ওয়ানডেতেই যে তিনি ডাক মেরেছেন, তা বোঝা গেল না তার দারুণ ব্যাটিং দেখে।

বাংলাদেশ আজ প্রথম উইকেট হারায় ১১ রানেই। ২ রান করে ফিরে যান এনামুল হক বিজয়। নাজমুল হোসেন শান্ত নিজের উইকেট বিলিয়ে আসেন ব্যক্তিগত ৬ রান করে। দুই অঙ্কের দেখা পাননি রানখরায় ভুগতে থাকা লিটন দাসও। তিনিও ৬ রান করেই বিদায় নেন।  

বিজয়-শান্ত-লিটনরা আসা-যাওয়ার খেলায় নাম লেখালেও অপরপ্রান্তে রান তুলছিলেন সৌম্য। ৫৮ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। যে ওভারে সৌম্য ফিফটি তোলেন, ওই ওভারেই দুইবার আউট হতে পারতেন তিনি। তবে একবার তাকে জীবন দেন রাচিন রবীন্দ্র ক্যাচ ছেড়ে। অন্যবার, আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি। এছাড়াও ম্যাচে আরও দুইবার জীবন পান এই ওপেনার।  

জীবন পেয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগার স্পর্শ করেন সৌম্য। প্রথমে তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে ৩৬ রানের জুটি, পরে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ৯১ রানের জুটি - বাংলাদেশও হাঁটতে থাকে লড়াকু স্কোরের পথে। হৃদয় এদিন রানআউট হওয়ার আগে ১২ রানের বেশি করতে পারেননি। মুশফিক সাজঘরে ফেরেন ফিফটি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। ৪৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। তবে ১১৬ বলে ঠিকই তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছে যান সৌম্য।

তিন জীবন পেয়ে সেঞ্চুরির পরপরই রান তোলার গতি বাড়ান সৌম্য। সেঞ্চুরি থেকে দেড় শর ঘরে যেতে তার লাগে মাত্র ২৮ বল। বলা রাখা ভালো, তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের পর তৃতীয় টাইগার ব্যাটার হিসেবে ১৫০ রানের ইনিংস খেললেন সৌম্য। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অবশ্য উইকেটে থাকা হয়নি তার। শেষ ওভারের প্রথম বলে ব্যক্তিগত ১৬৯ রান করে বিদায় নেন তিনি। এসময় স্মরণীয় ইনিংস খেলার সুবাদে অভিবাদনের সাগরে ভাসেন তিনি।  

শেষের দিকে, সৌম্যর সঙ্গে অন্য কেউ হাল ধরতে পারলে সহজেই তিন শর ঘর পেরোতে পারতো বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজের ১৯, তানজিদ হাসান সাকিবের ১৩ এবং রিশাদ হোসেনের ৬ রান যথেষ্ট হয়নি তার জন্য। নিউজিল্যান্ডের হয়ে শেষ ওভারে ৩ উইকেট নেন উইলিয়াম ওরর্কি। ৩ উইকেট নেন জ্যাকব ডাফিও।

news24bd.tv/SHS