২৩ হাজার টাকা মজুরির দাবি না মানা লজ্জাজনক

সংগৃহীত ছবি

মার্কিন ৮ কংগ্রেসম্যানের চিঠি

২৩ হাজার টাকা মজুরির দাবি না মানা লজ্জাজনক

অনলাইন ডেস্ক

দেশের তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম যে মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করা হয়েছে তা যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন মার্কিন কংগ্রেসের আট সদস্য। তারা বলছেন, শ্রমিকরা যে ২৩ হাজার টাকা মাসিক মজুরি দাবি করেছিল, সেটি মেনে না নেয়া লজ্জাজনক। শ্রমিকদের এ দাবি মেনে নিতে সরকার ও তৈরি পোশাক খাতের উৎপাদকদের চাপ দিতে আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনকে (এএএফএ) চিঠি দিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের এই সদস্যরা।  

চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের যে মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে, তা দিয়ে জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটানো সম্ভব নয়।

এতে শ্রমিকদের প্রতিবাদ আন্দোলন আরো তীব্র হয়েছে। আন্দোলন দমন করতে পুলিশ সহিংস পথ বেছে নিয়েছে। এতে অন্তত চারজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি অসংখ্য শ্রমিক আহত হয়েছেন।

শ্রমিক নেতাদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে আটক করা হয়েছে—এমনকি অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির দাবির প্রতি সমর্থন জানালেও কংগ্রেস সদস্যরা মনে করেন, শুধু কথায় কাজ হবে না। শ্রমিকদের আন্দোলনে দমনপীড়ন বন্ধ করতে, ২৩ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির দাবি মেনে নিতে এবং মজুরি নির্ধারণের প্রক্রিয়া উন্নত করতে সরকার ও মালিকপক্ষকে এএএফএ যেন চাপ দেয়। ২৩ হাজার টাকা মজুরি দিতে যে ব্যয় বৃদ্ধি হবে, তার পুরোটা যেন পোশাকের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়।

তারা যেন সরবরাহকারীদের সতর্ক করে দেয় যে শ্রমিক ও ইউনিয়ন নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের এবং তাঁদের হয়রানি করা গ্রহণযোগ্য নয়। সে ক্ষেত্রে পোশাক কেনার সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হতে পারে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশে যে মূল্যবোধের চর্চা করে, বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় তার প্রতিফলন থাকা উচিত। বাংলাদেশের শ্রমিকদের এই আন্দোলন বিশ্বব্যাপী ন্যায্য মজুরি ও নিরাপদ কর্মপরিবেশের আন্দোলনেরই অংশ। এক দেশের শ্রমিকদের ন্যায্যতার আন্দোলনে সমর্থন করার অর্থ হলো বিশ্বের সবখানেই তা সমর্থন করা।

কংগ্রেস সদস্যরা মনে করেন, এএএফএ এসব বিষয় নিশ্চিত করতে প্রভাব খাটানোর মতো শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে।
চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমর, জেমস পি ম্যাকগভার্ন, জ্যান শাকোস্কি, রাউল এম গ্রিহালভা, বারবারা লি, ডেভিড জে ট্রোন, আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিও-করটেজ ও সুজান ওয়াইল্ড।

news24bd.tv/DHL