মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পতন শিগগিরই !

ফাইল ছবি

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পতন শিগগিরই !

অনলাইন ডেস্ক

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পতন যে কোনো সময় হতে পারে এবং সেটা শিগগির বলে মত দিয়েছেন গ্রিফিথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক অ্যান্ড্রু সেলথ । তিনি এশিয়া টাইমসে তার মতের পক্ষে যুক্তিও তুলে ধরেছেন।

তিনি মনে করেন, মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে জাতিগত তিনটি সশস্ত্র সংগঠন (এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশন বা ইএও) দেশটির উত্তরাঞ্চলে বড় সামরিক অভিযান পরিচালনা করে সফলতা পেয়েছে। এ সাফল্যের পরপরই  মিয়ানমারের পশ্চিম, পূর্ব ও দক্ষিণ অঞ্চলে জোরদার লড়াই শুরু করেছে, যা দেশটির জান্তা সরকারকে বেকায়দায় ফেলেছে।

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সেনাবাহিনী (তাতমাদো) একের পর এক বড় পরাজয়ের মুখে পড়ছে। অসমর্থিত সূত্রের খবর অনুযায়ী বিদ্রোহীদের আক্রমণে এ পর্যন্ত কমপক্ষে চারটি সামরিক ঘাঁটি, ৩০০টি সেনাচৌকি এবং বেশ কয়েকটি বড় শহরের পতন হয়েছে। ফলে দুর্বল হয়ে পড়ছে সামরিক শক্তি।

চীন ও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ও যোগাযোগের মূল পথটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

ভারী অস্ত্রসহ বিশাল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিদ্রোহীরা নিজেদের অধিকারে রেখেছে। কিন্তু মিয়ানমারে খাদ্যের অভাব দেখা দিবে।  

এরিমধ্যে মার্কিন থিঙ্কট্যাংক কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস  সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিলুপ্তি ঘটছে, সেই প্রস্তুতি সরকার যেন নেয়। তাদের একজন বিশ্লেষকের ভবিষ্যদ্বাণী হলো, দেশজুড়ে যে ঝড় বইছে, তাতে ভেঙে পড়বে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।
অন্যদিকে  পিপলস ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসসহ মিয়ানমারের জাতিগত সশস্ত্র সংগঠনগুলো উল্লেখ করার মতো সাফল্য পেয়েছে।  
মিয়ানমারের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে এত উচ্চমাত্রার সহযোগিতার সম্পর্ক সামরিক জান্তার সবচেয়ে খারাপ দুঃস্বপ্নের কারণ।  

news24bd.tv/ডিডি