নির্বাচনের পরও হরতাল-অবরোধের পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবন ঘেরাও করা হতে পারে। তবে এই মুহূর্তে জনগণকে ভোটদানে নিরুৎসাহ করার কর্মসূচি নিয়ে পরিকল্পনা করছে বিএনপি।
মঙ্গলবার ( ১৯ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে বৈঠকেও একই বার্তা দেন দলের প্রধান নেতা।
বিএনপি নেতারা জানান, বুধবার ( ২০ ডিসেম্বর) ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেবেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, বুধবার( ২০ ডিসেম্বর) বিএনপি হাইকমান্ড গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেবেন এবং আন্দোলনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দেবেন।
বিএনপি মনে করছে, আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী দলগুলো যেভাবে আসন ভাগাভাগি করে ভোটে অংশ নিচ্ছে, তাতে এই নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়ে গেছে। সম্প্রতি বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কূটনৈতিক পর্যায়ে বৈঠকেও এ বিষয়টি বিদেশিরা আলোচনায় এনেছেন বলে দলের নেতারা দাবি করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একজন নীতিনির্ধারক বলেন, ভোটের পর যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিলে তখন কর্মসূচি জোরদার করা হবে।
বিএনপি নেতারা জানান, আসনভিত্তিক আন্দোলন কর্মসূচি জোরদার করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচি জোরদার করতে যুগপৎ আন্দোলনে সম্পৃক্ত দলগুলোর মধ্যে সমন্বয় তৈরির চেষ্টা চলছে। সম্প্রতি জেলা ও মহানগর পর্যায়ে যুগপৎ আন্দোলনে সম্পৃক্ত দলগুলোর মধ্যে সমন্বয় সভা হয়েছে।
দলের নীতিনির্ধারকরা জানান, ভোট বর্জনের কর্মসূচি আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হতে পারে। এ পর্যায়ে ভোট বর্জনের আহ্বানসংবলিত লিফলেট-প্রচারপত্র বিলির মাধ্যমে সারা দেশে ভোটার নিরুৎসাহকরণ গণসংযোগ কর্মসূচি শুরু করতে চায় দলটি।
news24bd.tv/ডিডি