রেলে কেন নাশকতা?

রেলে কেন নাশকতা?

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি-জামায়াতের হরতাল অবরোধের মধ্যে রেলপথে একের পর এক নাশকতা  জনমনে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, কেন টার্গেট ট্রেন? কর্তৃপক্ষ বলছে, টানা রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও রেল যোগাযোগ সচল রয়েছে। স্বাভাবিক সেই যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে দিয়ে ফায়দা নিতে চায় নাশকতাকারীরা। চেষ্টা চলছে সরকারকে বেকায়দায় ফেলারও।

এমতাবস্থায় রেলওয়ে স্টেশনে আর্চওয়ে ছাড়াও ট্রেনের ভেতর সিসিটিভি সচল করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।  

বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর দেওয়া হরতাল-অবরোধে সড়কপথে নাশকতার চেষ্টা হলেও অনেকটাই নিরাপদ ছিল রেল পথ। কিন্তু গেল অক্টোবর থেকে সেখানেও ঘটছে একের পর এক নাশকতা। সবশেষ দিনাজপুরে রেললাইনে স্লিপার দিয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে সীমান্ত এক্সপ্রেস। এর আগে মঙ্গলবার রেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিভে যায় চারজনের জীবন প্রদীপ।

তথ্য বলছে, নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের ২০ তারিখ পর্যন্ত ৩২টি নাশকতা ঘটে রেলে। এমন ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে রেলের নিরাপত্তা নিয়ে। কেন বার বার টার্গেট রেল? কর্তৃপক্ষ বলছে, রেলপথে নাশকতা চালিয়ে সাধারণের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চায় নাশকতাকারীরা।  

 চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রতন কুমার চৌধুরী বলেন, এই বাহনটাকে বাধাগ্রস্ত করে তারা চাচ্ছে সরকারের দৃষ্টি আকর্শন করতে।  

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, সবপক্ষকে নিয়ে যাত্রী নিরাপত্তায় টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।  
 
রেলওয়ে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী বলেন, যাত্রী সাধারণের সচেতন করার কাজগুলো আমরা করে যাচ্ছি।  

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্টেশনে স্টেশনে আর্চওয়ে ছাড়াও ট্রেনের ভেতর সিসিটিভি সচল করা জরুরি। নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম বলেন, সিসিটিভি নিরাপত্তার জন্য একটা মাধ্যম মাত্র। কিন্তু রেলওয়েতে যাত্রী যখন ওঠে, সে সময়ে একটা নিরাপত্তা বলায় সৃষ্টির চেষ্টা করতে হবে। অন্যান্য ইলেকট্রনিক পদ্ধতি বিবেচনা করা যেতে পারে।  
 
সেইসঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে নিরাপত্তা জোরদারের পরামর্শও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

news24bd.tv/আইএএম