কাশ্মীরে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় নিহত ৪ ভারতীয় সৈন্য

সংগৃহীত ছবি

কাশ্মীরে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় নিহত ৪ ভারতীয় সৈন্য

অনলাইন ডেস্ক

কাশ্মীরের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত রাজৌরি জেলায় সশস্ত্র বিদ্রোহীদের হামলায় চারজন ভারতীয় সৈন্য নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক গাড়িবহরে হামলার ফলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর আল জাজিরার।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানান, সেনাবাহিনীর দুইটি গাড়ি নয়জন সৈন্যকে নিয়ে রাজৌরি এলাকায় বিদ্রোহীদের আস্তানায় অপারেশন চালাতে যাচ্ছিলো।

এমন সময় সশস্ত্র বিদ্রোহীরা এক চোরাগোপ্তা হামলা চালায় এবং এতে সাতজন হতাহত হয়। ভারতীয় সৈন্যরা সাথে সাথে পাল্টা আক্রমণ চালালেও কোনো বিদ্রোহীর হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

ঘটনার পর ভারতীয় সৈন্যরা বিদ্রোহীদের ধরতে এলাকাটিতে চিরুনি অভিযান চালায়। রাজৌরির পাশ্ববর্তী এলাকাগুলোতেও জনসাধারণের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তবে এখন পর্যন্ত কোনো বিদ্রোহী আটক হয়নি।

কাশ্মীরের রাজৌরি এবং পুচ জেলা ভারত ও পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের মধ্যকার সীমানারেখা লাইন অফ কন্ট্রোলের একেবারে নিকটে অবস্থিত। ১৯৯০ এর দশক থেকে ভারতীয় কাশ্মীরে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে আসছে বিদ্রোহিরা। ভারত এবং পাকিস্তান উভয়েই কাশ্মীরকে পুরোপুরি নিজেদের বলে দাবী করলেও অঞ্চলটি দেশদুটির মধ্যে বিভাজিত অবস্থায় আছে।  

১৯৪৮ সালে কাশ্মীরের রাজা ভারতীয় ইউনিয়নে যোগ দেওয়ার ফলে অঞ্চলটিকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদাকে রদ করে এবং তার স্বায়ত্ত্বশাসন বাতিল করে। অতি সম্প্রতি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট কাশ্মীরের স্বায়ত্ত্বশাসনকে কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে করা রিট বাতিল করে দিয়ে মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের পক্ষে রায় দিয়েছে।

মোদি সরকার কাশ্মীরকে জম্মু, কাশ্মীর এবং লাদাখ- এই তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত করেছে।  
২০২১ সাল থেকে রাজৌরি এবং পুচের মতো সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের তৎপরতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালে বিদ্রোহীদের আক্রমণে  ভারতীয় সেনাবাহিনীর মোট ১৪ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন।

পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী জাইশ-এ-মোহাম্মদের সাথে সম্পর্কিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী পিপলস এন্টি ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানোর দায় স্বীকার করেছে।

news24bd.tv/ab

এই রকম আরও টপিক