সুস্থ ধারার বাঙালি সংস্কৃতি আজ হুমকির সম্মুখীন: প্রধান বিচারপতি

সংগৃহীত ছবি

সুস্থ ধারার বাঙালি সংস্কৃতি আজ হুমকির সম্মুখীন: প্রধান বিচারপতি

অনলাইন ডেস্ক

দেশের সাংস্কৃতিক সংকট উত্তরণে তরুণ শিল্পীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেন, ‘স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে, অবাধ তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে আমরা একটি সাংস্কৃতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। সুস্থ ধারার বাঙালি সংস্কৃতি আজ হুমকির সম্মুখীন। তাই তরুণ প্রজন্মের শিল্পীদের প্রতি আহ্বান থাকবে, মহান মুক্তিযুদ্ধের শব্দসৈনিকগণ শিল্পের মাধ্যমে দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করার যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সব ধরনের আগ্রাসন; বিশেষ করে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে প্রতিহত করে অপসংস্কৃতির করাল গ্রাস হতে দেশকে মুক্ত রাখতে প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান হতে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করবে।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান বিচার বিভাগের প্রধান। মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলী শব্দসৈনিকদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের পক্ষ থেকে ওই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রয়োজনীয়তা, কার্যকারিতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘একটি দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গণমাধ্যম কতটা শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র তার একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা দেশে ও বর্হিবিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের।

মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ও এর সঙ্গে জড়িতদের অবদান তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করা হতো স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে। মুক্তিযুদ্ধের অনিবার্য কণ্ঠস্বরে পরিণত হয়েছিল এটি। ’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের শব্দসৈনিকদের দেখানো পথ ধরে তরুণ প্রজন্ম আগামী দিনগুলোতে সুস্থ বাঙালি সংস্কৃতির সোনার বাংলা গড়ে তুলে বিশ্বদরবারে বাঙালি সংস্কৃতির মর্যাদা বৃদ্ধি করবে। তবেই আমাদের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলী শব্দসৈনিকদের আত্মত্যাগ সফল হবে। ’

অনুষ্ঠানে জাতীয় জাদুঘরের পর্ষদ সভাপতি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও সংস্কৃতিবিষয়ক সচিব খলিল আহমদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।  

সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান। সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের জনশিক্ষা বিভাগের কিপার আসমা ফেরদৌসি।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী, কলাকুশলীসহ জীবিত ৮৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে উপস্থিত ৫৪ জন শব্দসৈনিককে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাঁদের হাতে সংবর্ধনা ক্রেস্ট, চেক ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন অতিথিরা।

news24bd.tv/আইএএম