তোশাখানা মামলায় তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত হন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি এ সাজা বাতিলের আবেদন করলে তা ফেরত দিয়েছেন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন এ তথ্য জানিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট কার্যালয় জানানো হয়, অসম্পূর্ণ হওয়ায় আপিলের আবেদন ফেরত পাঠানো হয়েছে।
গত ১১ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে ইমরান খানের আইনজীবী সরদার লতিফ খোসা পাকিস্তানি সংবিধানের ১৮৫ অনুচ্ছেদের আওতায় এই আবেদন করেন। এই সময় রেজিস্ট্রার জানায়, আবেদনটি অসম্পূর্ণ। এর আগে, ইসলামাবাদ হাইকোর্টের একই আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।
রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে থাকা অবস্থায় পাওয়া উপহার বিক্রির অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হন ইমরান খান। এ মামলায় তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা জজ আদালত। তোশাখানা মামলায় দোষী প্রমাণিত ও কারাদণ্ড হওয়ায় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে অংশ নিতে এ রায়ের বিরুদ্ধে প্রথমে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ও পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান।
২০২২ সালের এপ্রিল মাসে দেশটির পার্লামেন্টে বিরোধী দলগুলোর অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারান ইমরান খান। পরবর্তী সময়ে শতাধিক মামলা করা হয় ইমরান খানের বিরুদ্ধে। সাইফার মামলা, তোশাখানা মামলাসহ আরও কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ইমরান বর্তমানে পাকিস্তানের কুখ্যাত আদিয়ালা কারাগারে আছেন।
news24bd.tv/DHL