সরকার নিয়ন্ত্রিত বিটিআরসি ইন্টারভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যম স্কাইপি সেবা বন্ধ করে দিয়ে এক ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে মন্তব্য করছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
সোমবার রাতে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিএনপি চেয়ারপাসনের গুলশানের কার্যালয়ে ইন্টারনেটভিত্তিক সব যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ হয়ে গেছে।
নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন সাহেব বলেছেন- বিএনপির মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই।
বিএনপির নির্বাচনী তৎপরতাকে বাধা দিতে সরকার সব ধরনের শক্তি প্রয়োগ করছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নমিনেশন প্রত্যাশীদের সঙ্গে স্কাইপিতে কথা বলা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন নয়। নির্বাচন কমিশন সচিব এ বিষয়টি নিশ্চিত করার পর তড়িঘড়ি করে বিটিআরসিকে দিয়ে স্কাইপি বন্ধ করে দেওয়া সরকারের নিম্ন রুচির পরিচায়ক। সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচনকে নিজেদের অনুকূলে নেওয়ার জন্য ক্লান্তিহীনভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে।
তারেককে ভয় পায় আওয়ামী লীগ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আওয়াজ ভেসে উঠলেই সরকার মূর্ছা যায়, আর সেজন্যই দূর থেকে ভেসে আসা শব্দকেও আটকানোর জন্য উঠেপড়ে লাগে। সংকীর্ণ রাজনীতির বলয় থেকে কোনোদিন বেরিয়ে আসতে পারবে না আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী। ভিন্নমত, বিরোধী দল, বিরোধী কণ্ঠস্বর নীরব করার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার ও সরকারপ্রধান। ’
ইন্টারভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যম স্কাইপি খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রিজভী আরও বলেন, জনগণের নিরভিমান আনুগত্যই শেখ হাসিনার কাম্য। যতদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে ততদিন গণতন্ত্রের ফাঁড়া কাটবে না এবং দেশ থেকে বিপদ দূর হবে না। সরকার কর্তৃক তারেক রহমানের কণ্ঠের আওয়াজকে বাধা দেওয়ার অর্থই গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরা। আর এ জন্য স্কাইপি বন্ধ করা হয়েছে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
