নির্ধারিত দামে ব্যাংকগুলোতে মিলছে না ডলার। আমদানি পর্যায়ে ডলারের দাম ১১৫ থেকে ১২৮ টাকা পর্যন্ত রাখার অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। অনেক ক্ষেত্রে বড় ব্যবসায়ীদের কাছে ডলারের দর কম রাখা হলেও ছোটদের ক্ষেত্রে বেশি রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ব্যাংকার ও বিশ্লেষকরা মনে করেন- কাগুজে দামের সাথে বাজারে বড় পার্থক্য থাকায় সংকট আরও বাড়ছে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থায় শুরু হয় সংকট। দাম বাড়ে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের। এর ফলে দেশে আমদানিতে বেড়ে যায় ডলারের চাহিদাও।
সেই সময়ের ৮৬ টাকার ডলারের কাগজে কলমে দাম এখন ১১০ টাকা।
ব্যবসায়ী ও বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম অভিযোগ করে বলেন, আমদানিতে ডলারের দাম নথিপত্রে ১১০ টাকা হলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১২৮ টাকা পর্যন্ত দাম রাখা হচ্ছে।
এমন বাস্তবতায়-কেউ কেউ বলছেন, বড় ধরণের চাপের মুখে আছে ব্যাংকগুলো। সহসাই যার সমাধানও দেখছেন না তারা।
সম্প্রতি যেসব ঋণপত্র খোলা যাচ্ছে, তাতে নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি ডলারে ১২ থেকে ১৩ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। ঘোষিত দামের সাথে বাজারে ডলারের দামের বড় এ পার্থক্য বাড়াচ্ছে সংকট।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের বিপিএম সিক্স হিসাব পদ্ধতি বলছে-দেশে রিজার্ভের পরিমাণ এখন ২০ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার। তবে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা বেশি।