শতকোটি টাকার সম্পদ ১৮ জন প্রার্থীর: টিআইবি

নির্বাচনী হলফনামার তথ্যচিত্র শীর্ষক প্রতিবেদন উপস্থাপন করে টিআইবি। ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

শতকোটি টাকার সম্পদ ১৮ জন প্রার্থীর: টিআইবি

অনলাইন ডেস্ক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার ১৮৯৬ জন‌‌ প্রার্থী অংশগ্রহণ করছে। এদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের মূল পেশা ব্যবসা। তাছাড়া ১০০ কোটি টাকার বেশি সম্পদ আছে এমন প্রার্থীর সংখ্যা ১৮ জন।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে ধানমন্ডিতে ‘নির্বাচনী হলফনামার তথ্যচিত্র: জনগণকে কী বার্তা দিচ্ছে?’ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ ও ‘নো ইউর ক্যান্ডিডেট’ ড্যাশবোর্ড উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সংস্থাটি।

সংস্থাটি জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে ১৬৪ জনের বাৎসরিক আয় ১ কোটি টাকার বেশি। এছাড়া স্বতন্ত্র ও দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা ৪৮০ জন।

নির্বাচনী হলফনামার তথ্যচিত্র শীর্ষক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবির কোঅর্ডিনেটর মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে প্রার্থীদের হলফনামা সংগ্রহ করা হয়েছে।

গত চার মেয়াদ বা চার সংসদ নির্বাচনের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ'র (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির চেয়ারপার্সন সুলতানা কামাল ও সুমাইয়া খায়ের।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া আয়-সম্পদ ও ঋণ-দায় বিবরণী কতটা সঠিক এবং আয় ও সম্পদ কতটা বৈধ উপায়ে অর্জিত তা যাচাই করা হয় না। আবার সম্পদের অর্জনকালীন যে মূল্য হলফনামায় দেখানো হয়েছে তা নিয়েও রয়েছে বড় রকমের প্রশ্ন।

হলফনামায় প্রার্থীরা নিজেদের অর্জিত সম্পদ কতটা দেখিয়েছেন? পুরোটা দেখিয়েছে কি না? কিংবা দেশে বা বিদেশে সম্পদ ধারণের তথ্য গোপন করেছেন কি না তা নিয়েও প্রশ্ন করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

১০০ কোটি টাকার বেশি সম্পদ রয়েছে এমন প্রার্থীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী, যার সম্পদ মূল্য ১ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা। এর পরেই আছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের প্রার্থী এস. এ. কে. একরামুজ্জামান, যার সম্পদ মূল্য ৪২১ কোটি টাকা।

প্রতিবেদনে গত ৫ বছরে আয়-ব্যয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বলা হয়, ১-৯৯ শতাংশ পর্যন্ত আয় কমেছে ৩৭ জন প্রার্থীর, আয় অপরিবর্তিত রয়েছে ১০৭ জনের, এছাড়া ৫০ শতাংশের বেশি আয় বেড়েছে ৬০ জনের।

news24bd.tv/DHL