স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেনের পক্ষে একাট্টা সালথার ভোটারেরা

সংগৃহীত ছবি

ফরিদপুর-২ আসন

স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেনের পক্ষে একাট্টা সালথার ভোটারেরা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়ার পক্ষে একাট্টা হয়েছেন সালথা উপজেলার বেশিরভাগ ভোটার। আসন্ন নির্বাচনে জামাল হোসেনকে বিজয়ী করে কাজ করছেন তারা। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই সালথার বেশির ভাগ বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানগণ জামাল হোসেন মিয়াকে সমর্থন দিতে তার সাথে যোগ দিচ্ছেন।  

এরই অংশ হিসাবে সোমবার বিকেলে সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম খান সোহাগ কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়ার সাথে যোগ দেন।

ফলে সালথা উপজেলায় জামাল হোসেনের পক্ষে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

এর আগে জামাল হোসেন মিয়ার সাথে যোগ দেন সালথা উপজেলা সাবেক দুই চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ও ওহিদ মাতুব্বর। তাছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগের বেশীর ভাগ নেতারাই রয়েছেন জামাল হোসেন মিয়ার পক্ষে। আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম খান সোহাগের যোগদান উপলক্ষে বিশাল এক সভার আয়োজন করা হয়।

 

সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া। জামাল হোসেন মিয়া তার বক্তৃতায় বলেন, ফরিদপুর-২ আসন ছিল একটি চক্রের কাছে জিম্মি। যারা এলাকায় কোন উন্নয়ন করেনি। তারা শুধুমাত্র লুটপাট করেছে। ফলে আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদনাম হয়েছে। আমাদের উচিত এবার সেই বদনাম ঘোচানোর। যারা এলাকার মানুষের দরদ বুঝে, যারা এলাকার উন্নয়নে কাজ কবরে তাকে ভোট দিতে হবে।

জামাল হোসেন মিয়া বলেন, যারা আজকে আমাদের সাথে যোগ দিলেন তারা এলাকার সম্মানিত ব্যক্তি। তাদের কথায় ভোট আসে। আমি যদি আপনাদের রায় নিয়ে এমপি হতে পারি তাহলে এলাকার উন্নয়নের জন্য যা যা করা দরকার তার সবই করা হবে। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে অবশ্যই আমার ঈগল প্রতিকে ভোট দেবেন।

অনুষ্ঠানে আটঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত অবস্থায় রয়েছি। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। হামলা মামলা দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হয়রানী করা হচ্ছে। আমরা এবার ভোটের মাধ্যমে জবাব দেব। অনুষ্ঠানে আগত কয়েক হাজার মানুষ স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়ার ঈগল প্রতিকে ভোট দিতে হাত উচিয়ে সমর্থন জানান। নির্বাচনী এ জনসভায় সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, বল্লবদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম, সোনাপুর ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাবু, রামকান্তপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইশারত হোসেন, যদুনন্দী ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম,  সালথা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান লেবু মোল্যা, সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সাহিদুজ্জামন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির আলী চৌধুরী, সালথা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান,  আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, নির্বাচনী প্রচারণায় সারাদিন ব্যস্ত সময় পার করেন জামাল হোসেন মিয়া। তিনি নগরকান্দা ও সালথা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করেন।

news24bd.tv/কেআই