আগামী বসন্তের শেষ নাগাদ কিংবা গ্রীষ্মের শুরুতে ইউক্রেন আর যুদ্ধ করার মতো অবস্থায় থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার যুদ্ধক্ষেত্র জাপোরোঝির গভর্নর ইয়েভজেনি বালিতস্কি। খবর আরটি'র।
নিজের সামরিক অভিজ্ঞতা এবং যুদ্ধক্ষেত্রের অপর প্রান্ত থেকে প্রাপ্ত সংকেতকে তার ভবিষ্যদ্বানীর ভিত্তি বলে দাবী করেছেন বালিতস্কি। বুধবার সাংবাদিকদের সাথে কথোপকথনকালে তিনি বলেন, ইউক্রেনে প্রচন্ড পরিবর্তন চলছে যা তাদেরকে ভেতর থেকে শেষ করে দেবে।
স্থানীয়দের মধ্যে এক রেফারেন্ডামের পর জাপোরোঝি গত বছর রাশিয়াতে যোগদান করে। ইউক্রেন সরকার এই ভোটাভুটিকে নাটক বলে অভিহিত করেছে এবং জাপোরোঝিসহ পাশ্ববর্তী খারসন এবং ২০১৪ সালে এক সশস্ত্র সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ইউক্রেন থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া আরও চারটি অঞ্চলকে জোরপূর্বক ফিরিয়ে নিতে চায়। রাশিয়া অথবা ইউক্রেন কেউই ক্রিমিয়ার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত জাপোরোঝি অঞ্চলকে সম্পুর্ন দখল করতে পারেনি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের টেলিভিশন চ্যানেল ভেজদা টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের জনবল সঙ্কটকে তাদের পরাজয়ের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন বালিতস্কি।
বালিতস্কি বলেন, তারা এখন যাকে যেখানে পাচ্ছে সেখান থেকেই তাকে ধরে এনে যুদ্ধে নিয়োজিত করছে। এই শীতকাল হবে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর জন্য খুবই নির্দয় এবং আগামী বসন্ত হবে রাশিয়ার জন্য জয়ের মুহূর্ত।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ইউক্রেনের আইনসভায় একটি আইন পাশ হয় যা কিনা দেশটির সামরিক বাহিনীতে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য খুবই কঠোর কিছু নিয়মের প্রবর্তন করেছে। এই আইনের ফলে যারা যুদ্ধে যোগ দেবে না তাদেরকে সম্পত্তির মালিকানা থেকে বঞ্চিত করা এবং গাড়ি চালানো থেকে বিরত রাখার মতো কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেসকল ইউক্রেনীয় নাগরিক উদ্বাস্তু হিসেবে বসবাস করছে সেসব দেশের সরকারকে এসকল নাগরিকদের যুদ্ধে যোগদানের জন্য ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ জানিয়েছে ইউক্রেন সরকার। এখন পর্যন্ত এস্তোনিয়া সরকার এই অনুরোধে সাড়া দিয়েছে।
news24bd.tv/ab