নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। এটা তার সাংবিধানিক দায়িত্ব। এ দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন না করতে পারলে জনগণের কাছে কমিশনকে জবাবদিহিতা করতে হবে। কিন্তু, সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে নির্বাচন কমিশন নিজেই একটা অবস্থান নিয়ে নিয়েছে যে, তারা নির্বাচন সুষ্ঠু করবে না।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বুধবার দুপুরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি পুলিশকে দিয়ে নির্বাচনে কারচুপি করার জন্য নীলনকশা তৈরি করা হচ্ছে। যে পুলিশ কর্মকর্তা গতবার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি এবারও পুলিশ সদর দফতরে বসে আওয়ামী লীগকে জেতানোর জন্য নীলনকশা করছেন। যে পুলিশ কর্মকর্তা পুলিশ হেড কোয়ার্টারে বসে নীলনকশা তৈরি করছেন, তাকে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে ক্লোজড অথবা বদলি করে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা অতীতে দেখেছি, সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোয় পুলিশ যে ভূমিকা পালন করেছে, তা ভীষণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে মির্জা আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার জন্য যাদের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা এখন পর্যন্ত কোনোটাই করছেন না। আমরা লিখিতভাবে এর প্রতিবাদ করেছি। নির্বাচন কমিশন যদি অনুকূল পরিবেশ তৈরি না করে, পুলিশের চলমান গ্রেপ্তার অভিযান বন্ধ না করে, তাহলে নির্বাচন কখনোই জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। আশা করব, নির্বাচন কমিশনের যে সাংবিধানিক দায়িত্ব রয়েছে, তা পালন করবে। ’
বিএনপি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জানিয়ে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচনকে এখনই প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত তার কোনো দায়িত্ব পালন করছে না। পুলিশ একইভাবে তফসিল ঘোষণার পরও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে। যারা জামিন পেয়েছেন, তাদের বের করা হচ্ছে না। তাদের জামিনকে বিলম্বিত করা হচ্ছে। ’
