সুদান সীমান্তে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় নিহত ৬

সংগৃহীত ছবি

সুদান সীমান্তে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় নিহত ৬

অনলাইন ডেস্ক

সুদান এবং দক্ষিণ সুদানের মধ্যবর্তী সীমান্তের আবেই অঞ্চলে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় একজন স্থানীয় প্রশাসকসহ মোট ছয়জন নিহত হয়েছেন। সুদানের দুই অংশেই বিদ্যমান একটি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর প্রতিদ্বন্দ্বি দুইটি দল তেলসমৃদ্ধ অঞ্চলটিতে ঘন ঘন সশস্ত্র হামলা পরিচালনা করে থাকে। খবর আল জাজিরার।

সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দিনকা নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে দুটি দলে বিভক্ত অবস্থায় আছে।

দক্ষিণ সুদানের ওয়ারাপ প্রদেশে অবস্থিত প্রথম দলটি টুইক দিনকা নামে পরিচিত, এবং সুদানের আবেই অঞ্চলে বসবাসকারী দলটি গোক দিনকা নামে পরিচিত। দল দুইটি প্রায়শই সশস্ত্র দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়।

সুদান সরকার জানায়, রুমামার কাউন্টিতে নববর্ষ উদযাপন শেষে আবেই থেকে আনিত শহরে ফেরার পথে আবেই অঞ্চলের প্রশাসক নুন ডেং এবং তার দল সশস্ত্র গোষ্ঠী কর্তৃক হামলার শিকার হয়। হামলায় ডেংসহ তার ড্রাইভার, দুইজন দেহরক্ষী এবং জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর দুইজন সদস্য নিহত হয়েছেন।

আবেই প্রদেশের তথ্যমন্ত্রী বুলিস কোচ রোববারের (৩১ ডিসেম্বর) হামলার জন্য ওয়ারাপ অঞ্চলের টুইক দিনকা দলকে দায়ী করেছেন এবং সোমবার(১ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত নিহতদের লাশ উদ্ধার হয়নি বলে জানিয়েছেন। তার এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন ওয়ারাপ অঞ্চলের তথ্যমন্ত্রী উইলিয়াম ওল।

গত নভেম্বর মাসেও অঞ্চলটিতে সশস্ত্র হামলায় ডজনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন।

২০১১ সালে সুদান দেশটি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে সুদান এবং দক্ষিণ সুদানে রুপান্তরিত হয়। তখন থেকেই আবেই অঞ্চলের সীমানা নিয়ে দুই দেশের মাঝে বিরোধ চলছে। অঞ্চলটি বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে পরিচিত এবং এখানকার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে দুই দেশই নিয়োগ দিয়ে থাকে।

স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই দক্ষিণ সুদানে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। মূলত প্রেসিডেন্ট সালভা কির এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়েক মাচারের মধ্যকার দ্বন্দ্বের ফলেই এই গৃহযুদ্ধের সূচনা। ২০১৮ সালে একটি শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন উপদলের মধ্যে কোন্দল নিরসনে ব্যর্থ হয়েছে।

news24bd.tv/ab