নেতানিয়াহু সরকারের আইনি সংস্কার আদালতে বাতিল

সংগৃহীত ছবি

নেতানিয়াহু সরকারের আইনি সংস্কার আদালতে বাতিল

অনলাইন ডেস্ক

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার কর্তৃক দেশটির বিচারব্যবস্থায় আনা পরিবর্তনকে বাতিল করে দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। গত বছর এই পরিবর্তন সাধনের পর নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভের সূচনা হয়েছিল। খবর বিবিসির।

নেতানিয়াহু সরকারের করা আইনি সংস্কার কার্যকর হলে অসাংবিধানিক যেকোন আইন বাতিলের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা অনেকাংশে হ্রাস পেতো।

সমালোচকদের মতে, এই সংস্কারের ফলে দেশটির বিচারব্যবস্থা দূর্বল হয়ে যেতো এবং গণতন্ত্র ব্যহত হতো।

বর্তমান নেতানিয়াহু সরকার হচ্ছে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ডানপন্থী সরকার। ইসরায়েলি নাগরিকদের মধ্যে একটি বিশাল অংশ এই সরকারের বিরোধিতা করে যাচ্ছে।

বিগত কয়েক মাস ধরে অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েনের পর সুপ্রিম কোর্ট সংস্কারটি বাতিল করতে সক্ষম হলো।

গত জুলাই মাসে নেতানিয়াহু সরকার বিচারিক সংস্কারটিকে আইন হিসেবে কার্যকর করে। এই আইনের ফলে ইসরায়েলি আদালতের অযৌক্তিক যেকোন সিদ্ধান্তকে বাতিল করার ক্ষমতাকে খর্ব করা হয়।

আইনটি প্রয়োগের ফলে ইসরায়েলব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হয় এবং হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবি করতে থাকে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অনেক সদস্য কাজে যোগদানে অস্বীকৃতি জানায়, যা দেশটির সামরিক ক্ষমতাকে দূর্বল করার সম্ভাবনা সৃষ্টি করে।

সুপ্রিম কোর্টের ১৫ জন বিচারপতির মধ্যে ৮ জন আইনটির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন। আইনটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় মূলনীতিতে ক্ষতিকর প্রভাব রাখতে চলেছিলো বলে সুপ্রিম কোর্ট তাদের রায়ে উল্লেখ করেছে।

আইনটির প্রণেতা এবং ইসরায়েলের আইনমন্ত্রী ইয়ারিভ লাভিন সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে অগণতান্ত্রিক বলে উল্লেখ করেছেন এবং বিচারকদেরকে সকল ক্ষমতা নিজেদের হাতে কুক্ষিগত করার দায়ে অভিযুক্ত করেছেন।

তবে বিরোধীদলীয় নেতা ইয়াইর লাপিদ সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন এবং এক্সে (পূর্বে টুইটার) এই রায়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট ইসরায়েলের নাগরিকদেরকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করেছে বলে উল্লেখ করেছেন।

আইনটি কার্যকর করার সময় নেতানিয়াহু ইসরায়েলের বিচারব্যবস্থা এবং রাজনীতির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার জন্যই আইনটি প্রয়োজন বলে যুক্তি দিয়েছিলেন।

news24bd.tv/ab