২২ কর্মকর্তার প্রত্যাহার চায় ঐক্যফ্রন্ট

ছবি সংগৃহীত

২২ কর্মকর্তার প্রত্যাহার চায় ঐক্যফ্রন্ট

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের সচিবসহ প্রশাসনের ২২ কর্মকর্তাকে অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে একটি চিঠি দেয় ঐক্যফ্রন্ট।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত চিঠিটি পৌঁছে দেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

চিঠিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সালাম নেবেন।

আপনাকে জানাচ্ছি যে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপে এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে আমরা মাঠ প্রশাসনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির জন্য লিখিত ও মৌখিকভাবে আহ্বান জানিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপেও তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এমনকি আপনিও ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণাকালে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে সব দল ও প্রার্থীর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।

অথচ নির্বাচন কমিশনে এ বিষয়ে বারবার দাবি জানানো সত্ত্বেও সরকার কর্তৃক সাজানো প্রশাসনে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি।

প্রশাসনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে সরকারের সাজানো প্রশাসন বহাল থাকায় একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেশবাসি লক্ষ করেছে যে, তফসিল ঘোষণার পর ১০ থেকে ১২ দিন সময় অতিবাহিত হলেও আপনাদের এসব প্রতিশ্রুতির দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

উপরন্তু সরকারের সাজানো প্রশাসনে অতি দলবাজ ও চিহ্নিত বিতর্কিত কর্মকর্তা নির্বাচনী মাঠ দাবরিয়ে বেড়াচ্ছে। অথচ কমিশন ওইসব বিতর্কিত কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।

এ অবস্থায় জনপ্রশাসনের নিম্নলিখিত বিতর্কিত কর্মকর্তাদের অবিলম্বে প্রত্যাহারপূর্বক নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব প্রকার দায়িত্ব থেকে বিরত রাখার জোর দাবি জানাচ্ছি। ১. নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ, ২. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহমেদ, ৩. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, ৪. চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান, ৫. খুলনার বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, ৬. ভোলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মাসুদ আলম, ৭. চট্টগ্রামের ডিসি মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসাইন, ৮. কুমিল্লার ডিসি মো. আবুল ফজল মীর, ৯. ফেনীর ডিসি মো. ওয়াহিদুজ্জামান, ১০. লক্ষ্মীপুরের ডিসি অঞ্জন চন্দ্র পাল, ১১. কিশোরগঞ্জের ডিসি মো. সরোয়ার মোরশেদ চৌধুরী, ১২. নরসিংদীর ডিসি সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, ১৩. টাঙ্গাইলের ডিসি মো. শহীদুল ইসলাম, ১৪. ঝিনাইদহের ডিসি সরোজ কুমার নাথ, ১৫. খুলনার ডিসি মোহাম্মদ হেলাল হোসাইন, ১৬. কুষ্টিয়ার ডিসি মো. আসলাম হোসাইন, ১৭. নড়াইলের ডিসি আঞ্জুমান আরা, ১৮. ময়মনসিংহের ডিসি শুভাস চন্দ্র, ১৯. জয়পুরহাটের ডিসি মোহাম্মদ জাকির হোসাইন, ২০. নওগাঁর ডিসি মো. মিজানুর রহমান, ২১. রাজশাহীর ডিসি এস এম আব্দুল কাদের ও ২২. সিলেটের ডিসি কাজী এমদাদুল হক।

চিঠিতে ফখরুল আরও বলেন, আমরা প্রশাসনের অবশিষ্ট কর্মকর্তাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছি এবং বিতর্কিত কর্মকর্তাদের পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহারের দাবি জানাব। অবিলম্বে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের সচিবগণকে প্রত্যাহার/বদলির দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে মাঠ প্রশাসনের অন্যান্য জেলার ডিসি ও সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বর্তমান কর্মস্থল জেলার বাইরে বদলির ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও পুনরায় জোর দাবি জানাচ্ছি।


NEWS24▐ কামরুল

সম্পর্কিত খবর