নিত্যপণের দামের অস্থিরতায় যখন ক্রেতাদের নাভিঃশ্বাস উঠছে, তখন কিছুটা কম মূল্যে ক্রেতাদের ডিম-মুরগি পাইয়ে দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বুধবার (৩ জানুয়ারি) ভোক্তা অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রাজধানীর শনির আখড়ার গোবিন্দপুরে ডিম ও মুরগির সুলভ মূল্যের বাজার চালু হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) এই বাজার চালু করেছে। সরাসরি খামার থেকে ডিম ও মুরগি এনে বাজারটিতে পাইকারি আড়তের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।
ভোক্তা অধিদপ্তর সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বুধবার ডিম ও মুরগির এই বাজার উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ত্রুটিপূর্ণ বিপণনব্যবস্থার কারণে মুরগি ও ডিমের দাম অনেক সময় হঠাৎ করে বেড়ে যায়। হাতবদলের কারণে এটা বেশি ঘটে।
খিলগাঁওয়ের মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমানের উদাহরণ দিয়ে এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘এক খলিল সাহেবের সাহসী উদ্যোগের ফলে গরুর মাংস ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে চলে এসেছে। ’ বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের এই উদ্যোগের ফলে ডিম–মুরগির বাজারেও স্বস্তি ফিরে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ডিম ও মুরগির বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙতে এই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। বড় বড় করপোরেট ব্যবসায়ী পোলট্রি ফিড উৎপাদন করে খামারিদের কাছে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করেন। ফলে প্রান্তিক খামারিরা অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েন। এই বাজারে নিজস্বভাবে তৈরি পোলট্রি ফিড অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে সরবরাহ করা হবে।
বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার অনুষ্ঠানে বলেন, ডিম ও মুরগির বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙতে এই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। বড় বড় করপোরেট ব্যবসায়ী পোলট্রি ফিড উৎপাদন করে খামারিদের কাছে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করেন। ফলে প্রান্তিক খামারিরা অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েন। এই বাজারে নিজস্বভাবে তৈরি পোলট্রি ফিড অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে সরবরাহ করা হবে। খামারিদের উৎপাদিত প্রতিটি ডিম খুচরায় ১০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ কেজি দরে বিক্রি করা হবে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা মহানগরীর বড় ১০টি গুরুত্বপূর্ণ বাজারেও এই কার্যক্রম সম্প্রসারণে সরকারের সহযোগিতা চান তিনি।
news24bd.tv/আইএএম