বছরের শুরুতেই দুটি আইনে পরিবর্তন এনেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ অভিভাবক সংস্থা আইসিসি। সর্বশেষ সংশোধনীতে আইসিসি জানিয়েছে, স্টাম্পিং আউট ও কনকাশন (মাথায় আঘাত) বদলির ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। নতুন নিয়মে স্টাম্পিং আউটের জন্য আবেদন করলে এখন থেকে কট বিহাইন্ড হয়েছে কি-না, তা দেখতে পারবেন না তৃতীয় আম্পায়ার। এছাড়া কনকাশন বদলির নিয়ম করা হয়েছে স্বচ্ছ।
প্লেয়িং কন্ডিশনে নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মাঠের আম্পায়ার তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে স্টাম্পিং আউটের আবেদন পাঠানোর পর ব্যাটসম্যান কট বিহাইন্ড হয়েছেন কি-না, এখন থেকে সেটা দেখতে পারবেন না তৃতীয় আম্পায়ার। অর্থাৎ, স্টাম্পিংয়ের আবেদন হলে শুধু সাইড অন রিপ্লে দেখা হবে। যেখানে ব্যাটসম্যানের ব্যাট বা শরীরের কোনো অংশ বেল ফেলার সময় ক্রিজের ভেতর ছিল কি না, সেটা যাচাই করা হবে।
কোনো উইকেটকিপার যদি মনে করেন, বল ব্যাটসম্যানের ব্যাট ছুঁয়ে সরাসরি তার হাতে এসেছে এবং এরপর তিনি স্টাম্পিংও করেছেন, সেক্ষেত্রে আলাদাভাবে রিভিউ (ডিআরএস) নিতে হবে।
ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফো আইসিসির সংশোধনীতে যা বলা হয়েছে, তার কিছু অংশ প্রকাশ করেছে, ‘পরিবর্তিত রিভিউ শুধুমাত্র স্টাম্পড আউট পরীক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। অন্য আউটের (যেমন-কট বিহাইন্ড) ক্ষেত্রে ফিল্ডিং দল যেন একটি ফ্রি রিভিউ না পায়, সেটা প্রতিরোধ করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ’
এদিকে, কনকাশন বদলির নিয়মে আইসিসি বলেছে, কোনো ক্রিকেটারকে যদি কনকাশন বদলি হিসেবে খেলাতে হয়, তাহলে মাঠ ছেড়ে যাওয়া ক্রিকেটারের বোলিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলে তিনিও বল করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে এটাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, এখন থেকে কোনো ক্রিকেটার চোট পেলে মাঠে ৪ মিনিটের বেশি চিকিৎসা নিতে পারবেন না।
নো বল ডাকার ক্ষেত্রে তৃতীয় আম্পায়ারকে আরও ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। এতদিন তৃতীয় আম্পায়ার শুধু সামনের পায়ের ধাপ পরীক্ষা করে নো বল দিতে পারতেন। এখন থেকে তৃতীয় আম্পায়ার সব ধরনের নো বল পরীক্ষা করে মাঠের আম্পায়ারকে নির্দেশ দিতে পারবেন।
news24bd.tv/SHS