‘২০০৮ সালে হেরে যাওয়ার পর থেকেই নির্বাচনে আসতে ভয় পায় বিএনপি’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

‘২০০৮ সালে হেরে যাওয়ার পর থেকেই নির্বাচনে আসতে ভয় পায় বিএনপি’

অনলাইন ডেস্ক

২০০৮ সালের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকেই বিএনপি ভোটে আসতে ভয় পায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নির্বাচনে জিতবে না বলেই জনগণকে ভোট থেকে বঞ্চিত করতে চায় বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইরে খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শেষ নির্বাচনি জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়ন করেছি।

বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করবে ২০২৬ সাল থেকে। বাংলাদেশ আর পেছনে তাকাবে না; অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাবে উন্নয়নের পথে। আমাদের বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্রই হোক আমাদের শক্তি জনগণ।

নারায়ণগঞ্জকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের ওপর দিয়ে মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জকে স্মার্ট সিটি করার লক্ষ্যে সরকারের নানা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।  

২০০৮ সালে ভারাডুবির কারণে ভয়ে এবার বিএনটি ভোটে নেই মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি মানুষকে কিছুই দেইনি, সব দিয়েছে আওয়ামী লীগ।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জ্বালাও পোড়াও মানুষ খুন- এটাই বিএনপির একমাত্র গুণ। তারা তিন হাজারের ওপর মানুষকে হত্যা করেছে। তারা মানুষকে কিছু দিতে পারে না। ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ করেছে। সারাদেশে বোমা হামলা করেছে। মা বোনের ওপর পাশবিক অত্যাচার করেছে তারা।  

বিএনপি ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে হত্যা করেছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে নারায়ণগঞ্জের অগ্রণি ভূমিকা রয়েছে। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। ২০০১ সালের ১৫ জুলাই শান্তিপূর্ণভাবে আমরা ক্ষমতা হস্তান্তর করি। এর পরপরই এই নারায়ণগঞ্জের মাটিকে রক্তাক্ত করা হয়। অনেককে হত্যা করা হয়।  

তিনি বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে। জাতির পিতার সময় কোনো রিজার্ভ মানি ছিল না। ফসল ফলেনি। গোলায় ধান ছিল না। রাস্তা ঘাট বিধ্বস্ত হয়ে যায়। শূন্য হাতে ধ্বংস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু দায়িত্ব নেন দেশ গড়ার। মাত্র তিন বছর সাত মাসে এই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ায়।  

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালে নির্যাতনের শিকার নারীদের পুনর্বাসন করেছিলেন জাতির পিতা। সে সময় নারীদের গণ বিয়ে হয়। আমার মা তাদের বিয়ে দিয়ে দেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাড়িতে বাড়িয়ে গিয়ে সে সময় মানুষকে সাহায্য দিয়েছে।

news24bd.tv/আইএএম