পিছিয়ে গেল পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন

সংগৃহীত ছবি

পিছিয়ে গেল পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন

অনলাইন ডেস্ক

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন পেছানোর জন্য দেশটির সিনেটে একটি ঐচ্ছিক প্রস্তাবনা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণ এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার ফলে পাকিস্তান সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর আল জাজিরার।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) পাকিস্তানের আইনসভার উচ্চকক্ষ এক অধিবেশনে প্রস্তাবনাটি গ্রহণ করে।

অধিবেশনে মোট ৯৭ জন সিনেটরের মধ্যে মাত্র ১৪ জন উপস্থিত ছিলেন এবং একজন সিনেটর প্রস্তাবনার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।

স্বতন্ত্র আইনপ্রণেতা দিলাওয়ার খান প্রস্তাবনাটি পেশ করেন। প্রস্তাবনায় তিনি বলেন, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদদের জীবনের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করেছে এবং বালুচিস্তান ও খায়বার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে নিরাপত্তাজনিত সমস্যার সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি, প্রচন্ড শীতের মাঝে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার এবং এতে করে নির্বাচনের ফলাফলে প্রভাব পড়তে পারে।

প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন পিছিয়ে দেয়া উচিত যাতে করে সমগ্র পাকিস্তান থেকে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে এবং সকল রাজনৈতিক দল সমান সুযোগ পায়।

গত আগস্টে পাকিস্তানের আইনসভার নিম্নকক্ষ ভেঙে যাওয়ার পর নভেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচনকে তত্ত্বাবধান করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার উল হক কাকারের নেতৃত্বে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারও গঠিত হয়েছিল।

কিন্তু পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন শেষ মুহূর্তে দেশটির সর্বশেষ জনশুমারির ফলাফলের প্রেক্ষিতে নির্বাচনী এলাকাগুলোর সীমানা পুনর্নিধারণ করার জন্য আরও সময় চেয়ে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেয়।  

পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত আগস্ট থেকে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য প্রকাশ করার দায়ে কারাগারে আছেন। ইমরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতাকর্মীদের ওপরে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সরকার কঠোর নিপীড়ন চালিয়েছে। পাশাপাশি, সামরিক বাহিনীর চাপে পড়ে অনেকেই ইমরান খানের দল ত্যাগ করেছেন।  

অতি সম্প্রতি ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য ইমরান খান ও তার দলের অসংখ্য নেতার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।

এদিকে, পাকিস্তানের নিরাপত্তাব্যবস্থাও সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে সমগ্র পাকিস্তানে প্রায় ৬০০টিরও বেশি সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২২ সালের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি। এই হামলাগুলোর মধ্যে ৯৩ শতাংশই ঘটেছে দেশটির বালুচিস্তান এবং খায়বার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে।

news24bd.tv/ab