গাজীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে হুমকি, ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ

সংগৃহীত ছবি

নারায়ণগঞ্জ-১ আসন

গাজীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে হুমকি, ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে ভোটারদের হুমকি, ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে, নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ভোটাররা অভিযোগ করেন, নৌকায় ভোট দিতে তাদের চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।

এই আসনে নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিদ্বন্দী স্বতন্ত্র প্রার্থী শাজাহান ভূঁইয়া। সঙ্গে রয়েছেন তৃণমূল বিএনপির তৈমুর আলম খন্দকার ও জাতীয় পার্টি থেকে সাইফুল ইসলাম।

রয়েছেন আরো কয়েকজন প্রার্থী। কিন্তু লড়াইয়ের আভাস মিলছে গাজীর নৌকা ও শাহজাহান ভূঁইয়ার কেটলির মধ্যে। কিন্তু নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ। নির্বাচনের ঠিক আগে, ভোট টানতে ভয়ভীতি দেখানো, অবৈধভাবে টাকা দেয়াসহ নানা অভিযোগ ভোটারদের।

এছাড়া গাজীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে হুমকি, ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলেছেন কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র। নির্বাচনের দিন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দেন তিনি।

স্থানীয়রা বলেন, মাঠের পরিস্থিতি টের পেয়ে হুমকি-ধমকি শুরু করে দিয়েছে গাজীর ক্যাডার বাহিনী। তার দীর্ঘদিনের পালিত সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীচক্রের সদস্যরা এরই মধ্যে নিজেদের বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র মজুদ করা শুরু করেছে, যাতে ভোটের দিন এবং তার আগ মুহূর্তে সাধারণ ভোটারদের প্রভাবিত করা যায়।

সাধারণ ভোটাররা আশঙ্কা করেন, গাজী নির্বাচনে হেরে গেলে তাদের সন্ত্রাসী রাজত্ব ভেঙে পড়বে। এ কারণে তারা অবৈধ অস্ত্র উঁচিয়ে ভোটারদের ওপর হামলে পড়েছে। এতেও যখন ভোটারদের গাজীবিরোধী গণজোয়ার থামানো যাচ্ছে না, তখন সর্বশক্তি নিয়োগ করে ভোটকেন্দ্র দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা।

এ কারণে  রূপগঞ্জের বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্র অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এখন পর্যন্ত মানুষ ভোট কেন্দ্রমুখী থাকলেও গোলাম দস্তগীর গাজীর সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীদের হুমকি-ধমকির মুখে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন সাধারণ ভোটাররা। এভাবে চলতে থাকলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।

অনুসন্ধান বলছে, রূপগঞ্জের বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রের আশপাশে গোলাম দস্তগীর গাজী সমর্থিত সন্ত্রাসীদের বাড়িতে বাড়িতে দেশি-বিদেশি অবৈধ অস্ত্র মজুদ করা হচ্ছে। ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সাউন্ড গ্রেনেড ও ককটেল তৈরি করা হচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করা কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব কথা বলেন।

কাঞ্চন পৌরসভার একজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, গাজীকে ভোট দেওয়ার জন্য তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে চাপ দিচ্ছেন। ভোটের পর ৮ তারিখ থেকে এলাকায় গাজীবিরোধী ভোটারদের থাকতে দেওয়া হবে না বলে প্রচার করা হচ্ছে। সাব্বির হোসেন ইমন নামের এক ভোটার জানিয়েছেন, প্রাইভেট নম্বর থেকে মন্ত্রীর এপিএস পরিচয়ে এক ব্যক্তি তাকে হুমকি দিয়েছে। কলাতলীর ত্রাস হিসেবে পরিচিত কমিশনার আইয়ুব খান। গাজীর এই সহযোগীর নামে রয়েছে পাঁচটি মামলা। এর মধ্যে জমি দখল ও লুটপাট উল্লেখযোগ্য। এই কমিশনারও গাজীর হয়ে ভোটারদের চাপ দিচ্ছেন।

এদিকে সাধারন ভোটাররা বলছেন, পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে নির্ভয়ে ভোট দিতে চান তারা।

ঢাকার একদম পাশের আসন নারাণগঞ্জ-১। দেশের যে কয়টি আসনে জমজমাট লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে তার মধ্যে অন্যতম এই আসন। যেখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৮৫ হাজারের বেশি।

news24bd.tv/DHL