ট্রেনে আগুন: স্বামী বেঁচে গেলেও খোঁজ নেই স্ত্রীর

গোপীবাগে ট্রেনে মর্মান্তিক আগুন

ট্রেনে আগুন: স্বামী বেঁচে গেলেও খোঁজ নেই স্ত্রীর

অনলাইন ডেস্ক

বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা এক্সপ্রেস ট্রেনটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও সময় বাড়ার সাথে সাথে হৃদয় বিদারক ঘটনা সামনে আসছে।

ট্রেনের আগুনের এখন পর্যন্ত ৪ জন মারা গেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন বহু মানুষ। এই ঘটনার ভুক্তভোগী একজন স্বামী আসিফ মো: খান (৩০) জানিয়েছেন, তিনি ট্রেন থেকে বের হতে পারলেও স্ত্রী নাতাশা বের হতে পারেননি।

তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আসিফের বাবা সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক খান।

এদিকে দগ্ধ স্বামী আসিফকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ভর্তি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, দগ্ধ আসিফ চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

দগ্ধ আসিফের বাবা আবু সিদ্দিক খান জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়।

বর্তমানে তারা ৭৬ শরৎ গুপ্ত রোড গেন্ডারিয়ার নারিন্দায় থাকেন।
তিনি বলেন, আসিফ ও তার স্ত্রী নাতাশা ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আত্মীয়র বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে ঘটনার শিকার হন।

আগুন লাগার পর তারা দরজা দিয়ে বেড় হতে না পেরে আসিফ জানালা দিয়ে মাথা বের করেন। সে সময়ে লোকজন তাকে টেনে বের করতে পারলেও তার স্ত্রী নাতাশা বের হতে পারেনি। ধারনা করা হচ্ছে, নাতাশা ট্রেনে রয়ে গেছে। আমরা এখনো নাতাশাকে পাইনি। আসিফের শরীরের ৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো বাচ্চু মিয়া।

এদিকে রাজধানীর গোপীবাগে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার গোপীবাগ এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ ট্রেনের একটি বগিতে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই আতঙ্কে হুড়োহুড়ি শুরু করেন যাত্রীরা। রাত ৯টার দিকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়।

পরে আরও ইউনিট স্পটে গিয়ে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার বলেন, বেনাপোল এক্সপ্রেস (৭৯৫) দুপুর ১টায় বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসে। ট্রেনটির ঢাকায় পৌঁছার কথা রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে। এর মধ্যে গোপীবাগে পৌঁছালে আগুনের ঘটনা ঘটে।

news24bd.tv/SC