কালকিনিতে ব্যালট পেপারে সিল, কেন্দ্র সাময়িক বন্ধ

কালকিনিতে ব্যালট পেপারে সিল, কেন্দ্র সাময়িক বন্ধ

৬৮ নং দক্ষিণ রমজানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র সাময়িক বন্ধ ছিল। ছবি: নিউজ২৪

মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরের কালকিনিতে ব্যালেট পেপারে প্রকাশ্যে সিল দিয়ে বাক্সে ভরার অভিযোগ ওঠায় একটি কেন্দ্রে সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। দেড় ঘন্টা পরে আবার শুরু হয়েছে ভোট গ্রহন।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ৬৮ নং দক্ষিণ রমজানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রটি বন্ধ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আলমগীর মৃধা।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পুলিশ, বিজিবি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট।  জানতে চাইলে কেন্দ্রের দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান বলেন, কেন্দ্রে ঝামেলা দেখে আমরা দ্রুত কেন্দ্রে চলে আসি। পরিস্থিতি শান্ত আছে। কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখা হয়েছিল।

পরবর্তীতে দেড় ঘন্টা পর ভোট গ্রহন শুরু হয়।

দক্ষিণ রমজানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র ও স্থানীয় সূ্ত্র জানায়, সোয়া ১১টার দিকে এই কেন্দ্রে আসেন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপ। এ সময় গোলাপের সঙ্গে ২০ থেকে ২৫ জন কর্মী সমর্থক ছিলেন। তিনি কেন্দ্রে আসার পরেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর তাহমিনা বেগমের পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। পরে ব্যালেট পেপারে নৌকায় প্রকাশ্যে সিল দিতে যায় নৌকার পোলিং এজেন্ট দুলাল ব্যাপারী ব্যালেট পেপারে সিল দেওয়া শুরু করে। এরপরেই কেন্দ্রের দুপক্ষের উত্তেজনা শুরু হলে কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ সাময়িক বন্ধ করে কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার।

নৌকার পোলিং এজেন্ট দুলাল ব্যাপারী বলেন, নৌকায় প্রকাশ্যে সিল দেয়া হয়নি। আমি কিছুই করিনি। ঈগলের এজেন্ট কোথায় তা বলতে পারবো না।  

স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার এজেন্ট বের করে দিয়ে নৌকায় প্রকাশ্যে সিল দেওয়া হচ্ছে। ভোটের পরিবেশ নষ্ট করছে গোলাপ। প্রশাসনকে বিষয়টি কঠোর ভাবে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।

এ সম্পর্কে প্রিসাইডিং অফিসার আলমগীর মৃধা বলেন, এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৬১৯ জন। সকাল ১০টা পর্যন্ত ২০০ ভোট কাস্টিং হয়েছে। এমপি সাহেব (আবদুস সোবহান গোলাপ) কেন্দ্রে আসার পরেই ঝামেলা সৃষ্টি হইছে। এক সাবেক মেম্বার নৌকার পোলিং এজেন্ট দুলাল ব্যাপারীকে এমপি সাহেব ফোন করার পরেই ঝামেলা সৃষ্টি হলো। পরে দুলালকে বাঁধা দিতে গেলে আমাকে ভোট বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়। পরে এক পুলিশের এসআইর গায়ে হাত দেয়। এরপরে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে কেন্দ্রটি আমরা সাময়িক বন্ধ রেখেছিলাম।

মাদারীপুর-০৩ আসনের সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ জানান, অনিয়মের অভিযোগে রমজানপুরের ভোটকেন্দ্রটি সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছিল।  পরে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

news24bd.tv/DHL