রূপগঞ্জে নৌকা-কেটলি সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ৭

রূপগঞ্জের একটি ভোটকেন্দ্র

রূপগঞ্জে নৌকা-কেটলি সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ৭

অনলাইন ডেস্ক

নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের উত্তর খৈশাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কেটলি মার্কায় ভোট দেওয়ায় স্থানীয় এক যুবককে মারধর করে নৌকার সমর্থকরা। পরে নৌকা ও কেটলি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পক্ষ থেকে গুলির ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।  সংঘর্ষ থেমে গেলেও উত্তর খৈশাইরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

জানা যায়, রূপগঞ্জ-১ আসনের সংসদীয় নির্বাচনের প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়াকে ভোট দেওয়ায় বেলা ১১টায় মইজ উদ্দিন সরকারের ছেলে আক্তার হোসেনকে (৩০) মারধর করে আহত করে গাজী গোলাম দস্তগীরের সমর্থকরা। উত্তর খৈশাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রের ৫০ ফিটের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর উত্তপ্ত হয়ে ওই কেন্দ্রের পরিবেশ।  তবে, বিজিবির টহল গাড়ি আসলে নৌকার সমর্থকরা স্থান ত্যাগ করে।

 

এদিকে, দুপুর সোয়া ১২টায় গোলাম দস্তগীর গাজীর সমর্থকরা আরও একজন ভোটারকে ভোট দিতে বাধা দেয়। এতে পুনরায় পরিস্থিতি খারাপ হয়। উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এ ঘটনায় কেটলির ৬-৭ জন সমর্থক আহত হন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও অ্যাকশনে যায়। বর্তমানে সংঘর্ষ থামলেও নির্বাচনী এলাকাটিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।  

সাধারণ ভোটারদের জোড়পূর্বক নৌকা মার্কায় ভোট প্রদানে বাধ্য করার অভিযোগে কেন্দ্রটির ভোট গ্রহণের আবেদন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাহান ভূঁইয়া। এ সংক্রান্ত একটি আবেদন কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রিজাইডিং অফিসার পুলিং এজেন্টদের বের হতে দিচ্ছে না।

কেটলি প্রার্থীর এজেন্ট রফিক উল্লা বলেন, সকাল থেকে এই কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোট হচ্ছে। কিন্তু নৌকার সমর্থকরা ভোটারদের আটকাতে মরামারি শুরু করে। বিজিবির টহল টিম আসলে তারা কেন্দ্রের সামনে থেকে সরে যায়। টহল টিম চলে যাওয়ার পর তারা আবারও সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করে।

তিনি বলেন, এ কেন্দ্রে শাহজাহান ভূঁইয়ার ভোটার বেশি। তাই ইচ্ছাকৃতভাবেই তারা ভোটের পরিবেশ নষ্ট করতে হামলা চালায়। তবে, কেন্দ্রে প্রবেশ করেনি। এখন আমাদের প্রার্থী ভোট স্থগিতের আবেদন করেছে। তিনি আমাদের কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যেতে বলেছে। কিন্তু প্রিসাইডিং অফিসার বের হতে দিচ্ছে না।  

কেটলির আরেক পোলিং এজেন্ট বলেন, ভোট দিয়ে বের হওয়ার পর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এক ভোটারের ওপর হামলা কর হয়। এ ঘটনায় হাইজুল ইসলাম নামে একজন ভোটারের মাথা ফেটে গেছে। সাত্তার, সোহেল ও আল-আমিনসহ ৭-৮ জন হামলা করে। তিনি বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না; বরং তারা আমাদের ছত্রভঙ্গ করতে আমাদের ওপর ১০-১২ রাউন্ড গুলি করেছে।
 
এ প্রসঙ্গে প্রিসাইডিং অফিসার মো. আশরাফুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ভোট সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। হঠাৎ কেন্দ্রের বাহিরে গন্ডগল হয়েছে। এতে নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না, প্রশাসন তদারকি করছে। কেটলি এজেন্টদের কেন বের হতে দেওয়া হচ্ছে না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যে কেউই বের হয়ে যেতে পারে। তাতে কোনো বাধা নেই।
news24bd.tv/আইএএম