যৌন কেলেঙ্কারির তালিকায় আছেন হিলারি ক্লিনটনও

হিলারি ক্লিনটন

এপস্টেইনের নথি প্রকাশ

যৌন কেলেঙ্কারির তালিকায় আছেন হিলারি ক্লিনটনও

অনলাইন ডেস্ক

গত শুক্রবার ( ৫ জানুয়ারি)  এপস্টেইনের নথি প্রকাশ তৃতীয় ধাপে প্রকাশিত হলে জানা যায় হিলারি ক্লিনটনও যৌন কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এর আগের নথি প্রকাশের পর বিল ক্লিনটনের নাম এসেছিল।
আগের নথিতে জানা যায় সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, যুক্তরাজ্যের প্রিন্স অ্যান্ড্রুসহ খ্যাতনামা বেশ কয়েকজনের নাম। প্রয়াত পপতারকা মাইকেল জ্যাকসন, বিশ্ব বিখ্যাত জাদুশিল্পী ডেভিড কপারফিল্ড ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামও রয়েছে।

এদেরও সংশ্লিষ্টতা ছিল এপস্টেইনের সঙ্গে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন যৌন কেলেংকারিতে। সূত্র, বিবিসি ও গার্ডিয়ান।

আরও পড়ুন:ক্লিনটন, ট্রাম্প, অ্যান্ড্রু ও জ্যাকসনসহ অনেকের যৌন কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস
এমনকি স্টিফেন হকিং ও যৌন ব্যাভিচারে লিপ্ত ছিলেন বলে জানা যায়।

 
 এপস্টেইনের প্রেমিকা জিসলেন ম্যাক্সওয়েলের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে মামলাটি করেছিলেন ভার্জিনিয়া জুফরে। তাঁর অভিযোগ, যৌন ব্যবসার জন্য তাঁকেসহ কমবয়সী কয়েক নারীকে পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এপস্টেইন ও ম্যাক্সওয়েল। সম্প্রতি নিউইয়র্কের একটি আদালত ওই মামলার নথি প্রকাশের অনুমতি দেন। এরপর গত বুধ বৃহস্পতিও শুক্রবার তিন  ধাপে নথি প্রকাশ করা হয়।

নতুন প্রকাশিত নথিতে এপস্টেইনের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর জবানবন্দি তুলে ধরা হয়েছে। নারী পাচার ব্যবসা চালাতে এপস্টেইনকে সাহায্য করেছিলেন তিনি। আর ভার্জিনিয়াসহ আরেক অভিযোগকারী জোহাজা এসজোবার্গের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে, কীভাবে এপস্টেইন ও ম্যাক্সওয়েল কিশোরীদের প্রলোভন দেখিয়ে নারী পাচার ব্যবসায় টানতেন।
নথিতে হিলারি ক্লিনটনকে ‘সুনির্দিষ্ট ১৩ জন প্রত্যক্ষদর্শীর’ একজন হিসেবে উল্লেখ করেছেন ভার্জিনিয়া জুফরে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তোলা হয়নি। তবে হিলারি  এপস্টেইনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন ও সবই নাকি জানতেন।  
এদিকে পিপল সাময়িকীতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নথিতে পদার্থবিদ স্টিফেন হকিংয়ের নামও এসেছে। নথি অনুযায়ী, এপস্টেইন ২০১৫ সালে তাঁর সহযোগী জিসলেন ম্যাক্সওয়েলকে একটি ই–মেইল পাঠিয়েছিলেন। তিনি তাতে লিখেছিলেন, কেউ যদি হকিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভুল প্রমাণ করতে পারে, তবে তাকে পুরস্কার দেওয়া হবে।  
ই–মেইল থেকে জানা গেছে, হকিংয়ের বিরুদ্ধে এপস্টেইনের ব্যক্তিগত দ্বীপে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এ অভিযোগকে ভুল প্রমাণের চেষ্টা করছিলেন এপস্টেইন।
যুক্তরাষ্ট্রের কুখ্যাত নারী নিপীড়নকারী জেফরি এপস্টেইনের নাম যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অধিকাংশ মানুষই জানেন। এপস্টেইনকে নারী নির্যাতনে সহায়তা করার দায়ে ২০২২ সালে তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। তার প্রেমিকা জিসলেন ম্যাক্সওয়েলকেও নির্যাতন করতেন। চুড়ান্ত স্যাডিস্ট হচ্ছেন এপস্টেইন।
 গত ডিসেম্বরে এপস্টেইন সম্পর্কিত মামলার সংশ্লিষ্ট নথিপত্র প্রকাশের অনুমতি দেন আদালত । এরই জের ধরে বুধবার ( ৩জানুয়ারি) সেই নথি প্রকাশ করা হয়।  
২০০৯ সালে অপ্রাপ্তবয়স্ক এক নারীকে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এপস্টেইনকে। ২০১৯ সালে যৌন ব্যবসার নানা অভিযোগের বিচার চলাকালে কারাগারের আত্মহত্যা করেন তিনি।

news24bd.tv/ডিডি