ইসলামে শাসকের গুরুদায়িত্ব

ইসলামে শাসকের গুরুদায়িত্ব

 মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ

আল্লাহ তাআলা মুসলিম শাসকের প্রতি অনেক গুরুদায়িত্ব আরোপ করেছেন। এসব দায়িত্বের মূল লক্ষ্য দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ সাধন। নিম্নে এমন কিছু দায়িত্ব তুলে ধরা হলো : 

(১) আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান কার্যকর করতে ও জারি রাখতে চেষ্টা করা, 

(২) আল্লাহর নাজিল করা বিধান অনুযায়ী বিচার করা, 

(৩) সালাত প্রতিষ্ঠা করা, 

(৪) জাকাত আদায় ও বণ্টন করা, 

(৫) সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা, 

(৬) আল্লাহর শত্রুদের বিরুদ্ধে বক্তৃতা, লেখনী, অস্ত্রশস্ত্রসহ লড়াই করা, 

(৭) মুসলিম শিশুদের লালন-পালন, পরিচর্যা ও শিক্ষাদীক্ষার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা, 

(৮) অসহায় প্রতিবন্ধীদের সহায়তা প্রদান করা, 

(৯) মানুষের মধ্যে সাম্য-ইনসাফ কায়েম করা, 

(১০) বিদ্রোহী ও অন্যায়-অত্যাচারকারীদের প্রতিহত করা, 

(১১) অত্যাচারিত ক্ষতিগ্রস্তদের অধিকার আদায় করে দেওয়া, 

(১২) জনগণের জীবন-জীবিকা ও পার্থিব সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা, 

(১৩) ইনসাফ ও সমতার ভিত্তিতে জনগণের মধ্যে অর্থ বণ্টন করা ইত্যাদি।

সন্দেহ নেই যে ইসলামের দৃষ্টিতে শাসনক্ষমতা একটি মহা গুরুদায়িত্ব এবং অনেক বড় ও কষ্টসাধ্য আমানত।

যেমন রাসুলুল্লাহ (সা.) ইমারত বা শাসনকার্য সম্পর্কে বলেছেন, নিশ্চয়ই তা আমানত এবং নিশ্চয়ই তা কিয়ামতের দিন অপমান ও আফসোসের কারণ হবে। তবে তার জন্য নয়, যে উহার হক বুঝে উহাকে গ্রহণ করবে এবং ওই সম্পর্কিত তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে। (মুসলিম, হাদিস : ৪৬১৩)

ইসলামে শাসকের  দায়িত্ব এক বিরাট ও মহা গুরুদায়িত্ব। আল্লাহ বলেন, ‘তারা এমন লোক, যাদের আমরা যদি পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা দান করি, তাহলে তারা সালাত কায়েম করে, জাকাত আদায় করে, সৎকাজের আদেশ দেয় ও অসৎ কাজে নিষেধ করে।

আর সব কাজের পরিণাম আল্লাহর ইচ্ছাধীন। ’ (সুরা : হজ, আয়াত : ৪১)

এই রকম আরও টপিক