জীবদ্দশায় ঈমানি মৃত্যু ও জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবিদের একজন হজরত সাবিত ইবনে কাইস ইবনে শাম্মাস (রা.)। তাঁর উপনাম আবু মুহাম্মদ। উপাধি খতিবুল আনসার ও খতিবুন্নবি (সা.)। মুনাফিক নেতা আবদুল্লাহ ইবন উবাইয়ের মেয়ে হজরত জামিলা (রা.) ছিলেন তাঁর স্ত্রী। জামিলা (রা.)-এর প্রথম স্বামী হানজালা (রা.) উহুদ যুদ্ধে শাহাদাতবরণ করার পর তিনি তাঁকে বিয়ে করেন। স্ত্রী জামিলার গর্ভে মুহাম্মদ নামে তাঁর এক পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। হজরত সাবিত (রা.) উহুদ ও তত্পরবর্তী সব যুদ্ধে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে যোগ দেন। তাঁর কণ্ঠস্বর ছিল উঁচু। ছিলেন সৌন্দর্য ও নেতৃত্বপ্রিয়। তবে তাঁর তাকওয়ারও কোনো কমতি ছিল না। রাসুল (সা.) তাঁর ব্যাপারে শাহাদতের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। ঘটনাটি ছিল এ রকম সুরা হুজুরাতের ২ নম্বর আয়াত নাজিল হয়, যাতে বলা হয়েছে১তোমরা নবীর সামনে উঁচু আওয়াজে কথা বলো না। তা না হলে তোমাদের...
নবীজির মুখে শাহাদাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবি
মাইমুনা আক্তার

হজযাত্রীর সংখ্যায় শীর্ষ ১০ দেশ
আবরার আবদুল্লাহ

প্রতিবছর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে লাখ লাখ হজযাত্রী সৌদি আরব যায়। সৌদি সরকার প্রত্যেক দেশ থেকে সুনির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তিকে হজ করার অনুমতি দিয়ে থাকে। কোটা ব্যবস্থার মাধ্যমে এই সংখ্যা নির্ধারণ হয়ে থাকে। আর সে অনুযায়ী প্রত্যেক দেশ থেকে মুসল্লিরা হজ করার সুযোগ পায়। যেভাবে নির্ধারিত হয় কোটা হাজিদের কোটা নির্ধারণে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) কর্তৃক নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করা হয়। তা হলো, প্রত্যেক দেশের ১০ লাখ মুসলিম নাগরিকের বিপরীতে এক হাজার ব্যক্তিকে হজের অনুমতি দেওয়া হয়। এর বাইরে কোনো দেশের সরকার হাজিদের কোটা বৃদ্ধির আবেদন করলে সৌদি সরকার কখনো কখনো তা বিবেচনা করে থাকে। (বিবিসি বাংলা) হজযাত্রীর সংখ্যায় শীর্ষ ১০ দেশ কোটা অনুযায়ী হজযাত্রী প্রেরণে শীর্ষ ১০ দেশের পরিচয় তুলে ধরা হলো ১. ইন্দোনেশিয়া: ২০২৫ সালে ইন্দোনেশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক...
হজ ভালোবাসার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ
মুফতি সাইফুল ইসলাম

ভালোবাসা এক অপার রহস্য, আর আত্মসমর্পণ তার চূড়ান্ত রূপ। মানুষ যখন আল্লাহর প্রতি তার গভীরতম ভালোবাসাকে প্রার্থনার পাঁজরে বেঁধে আত্মসমর্পণের দিকে এগিয়ে যেতে চায়, তখনই সে হজে রওনা দেয়। হজ কেবল একটি ইবাদত নয়, এটি এক প্রেমিক হূদয়ের রবের দরবারে একনিষ্ঠ আত্মনিবেদনের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ। যেখানে দেহ, মন ও আত্মা সবকিছু বিমগ্ন হয় একজন প্রিয়তমের দিকেই। ইহরাম অবস্থায় শুভ্রতার অবগাহনে ডুবন্ত ব্যক্তি যখন দুনিয়াবী পরিচয়ের সব আবরণ খুলে ফেলে তখন সে নিজের অস্তিত্বকে আল্লাহর কাছে সঁপে দেয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ঘোষনা করেন, যারা হজ করবে, তারা যেন ইহরামের অবস্থায় অশ্লীলতা, গুনাহ ও কলহ পরিহার করে... (সুরা আল-বাকারা: আয়াত ১৯৭) এই আয়াত হজের মহাকাব্যিক প্রেমলীলায় প্রবেশকারী আত্মাকে একটি আধ্যাত্মিক শুদ্ধতার সংকেত দেয়, যা বাহ্যিক পোশাকের চেয়েও গভীরতর। তারপর আল্লাহ...
বিভিন্ন ধর্মে ‘কোরবানি’র ধরন ও দর্শন
আসআদ শাহীন

কোরবান শব্দটি এসেছে কুরবত থেকে, অর্থাত্ নৈকট্য। যে কোনো বস্তু, যা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সান্নিধ্য লাভের উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করা হয়, তাই কোরবানি। আর ঈদুল আজহার দিনে আল্লাহর নামে যে পশু জবাই করা হয়, তা এই আত্মিক ত্যাগের বাহ্যিক প্রতীক মাত্র। প্রকৃত ত্যাগ হল নিজের অভ্যন্তরের কিছুকে, প্রিয়তম কিছুকে, অথবা নিজের সত্তাকেই আল্লাহর রাহে নিবেদন করা। (লিসানুল আরব, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৬৬২, মুখতারুস সিহহা, পৃষ্ঠা ৫২৭) কোরবানির সূচনা ও বিভিন্ন ধর্মের ধারণা কোরবানির ইতিহাস সৃষ্টির আদিলগ্ন থেকেই শুরু হয়েছে। মানব জাতির অধিকাংশ সম্প্রদায় ও ধর্মে কোরবানির ধারণা কোনো না কোনো রূপে বিদ্যমান। শুধু পদ্ধতি ও অনুষঙ্গের মধ্যে পার্থক্য থাকতে পারে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন : আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্যে কোরবানি নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা আল্লাহর দেয়া চতুস্পদ জন্তু যবেহ কারার সময়...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর