তামাশার নির্বাচন বর্জন করে জনগণ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের পক্ষে ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেছে। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ। এসময় নেতারা বলেন, গত সাত জানুয়ারি বর্তমান সরকারের ক্ষমতা নবায়ন করার যে তামাশার নির্বাচন তা জনগণ সর্বতোভাবে বর্জন করেছে।
এই গণরায় প্রদান করায় জনগণকে সমস্ত রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আমরা অভিনন্দন জানাই।তারা বলেন, সাত জানুয়ারি নির্বাচনের নামে যে প্রহসন অনুষ্ঠিত হয় তাতে ক্ষমতা বদলের কোন সুযোগ ছিল না। সরকারি দল তাদের নিজেদের মধ্যে থেকেই ডামি প্রার্থী দাঁড় করিয়ে একটা কৃত্রিম প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখানোর আয়োজন করেছে। এর বাইরে সরকারি দলের বর্তমান ও সাবেক জোটসঙ্গীদের সাথে আসন ভাগাভাগির মধ্যে দিয়ে তারা প্রতিযোগিতার ন্যূনতম জায়গাকেও বন্ধ করেছে।
অভিযোগ করে তারা বলেন, আসলে এটা গণতন্ত্রের কফিনের শেষ পেরেক ঠোকার এক আয়োজন হিসেবেই ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। আমরা দেখেছি সরকার প্রথমে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপিকে ভেঙে কিছু অনুগত বিরোধী দল বানানোর চেষ্টা করেছিল। তাতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। নিজের দলের ডামি প্রার্থী দিয়ে কৃত্রিম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করে তারা জনগণের চোখে বুলা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা টাকা ছড়িয়েও ভোটার আকৃষ্ট করতে পারেনি।
এসময় ডামি নির্বাচন ও তার ফলাফলকে বাতিল করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য আহ্বান জানান মঞ্চের নেতারা।
গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রধান জোনায়েদ সাকী, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রধান সাইফুল হক, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।