নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন নওয়াজ শরীফ

সংগৃহীত ছবি

নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন নওয়াজ শরীফ

অনলাইন ডেস্ক

সোমবার (৮ জানুয়ারি) পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার ওপর আজীবন নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এর ফলে চতুর্থবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন নওয়াজ শরীফ। খবর রয়টার্সের।

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে নওয়াজের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগের জয়ের ব্যাপারে অনেকেই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

নওয়াজ শরীফের প্রতিদ্বন্দ্বী ইমরান খান এই মুহূর্তে জেলে আছেন এবং আগামী পাঁচ বছর তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না।

সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ে প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসা বলেন, আজীবন নিষেধাজ্ঞা একজন নাগরিকের নির্বাচনে অংশ নেয়ার মৌলিক অধিকারকে হরণ করে।

সাতজন বিচারকের প্যানেলে ছয়জন রায়ের পক্ষে এবং একজন রায়ের বিপক্ষে মত দিয়েছেন। ২০১৮ সালের এক রায়ে সংবিধানের কয়েকটি ধারার অধীনে অপরাধে দন্ডিত হলে নির্বাচনের অযোগ্য হওয়ার বিধান রাখা হয়।

৭৪ বছর বয়সী নওয়াজ অসদুপায়ের দায়ে ২০১৭ সালে দন্ডপ্রাপ্ত হন, যা ২০১৮ সালের রায়ের ফলে তাকে নির্বাচনের অযোগ্য করে দেয়। গত বছর আদালতে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা দুটি অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান।

সুপ্রিম কোর্টের এ রায়ের ফলে ইমরান খান কোনো সুবিধা পাবেন না। রায়ে আজীবন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে, কিন্তু স্বল্প মেয়াদের দন্ডের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এর মানে হচ্ছে ইমরান খান ২০২৮ সাল পর্যন্ত নির্বাচন করতে পারবেন না।

এক্সে প্রকাশিত এক বার্তায় পাকিস্তান মুসলিম লীগের নেত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব জানান, আজীবন নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে নওয়াজ শরীফকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দেয়ার হীন চক্রান্তের আজ সমাপ্তি ঘটলো। এর মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের বিচারব্যবস্থার কালো অধ্যায় অপসারিত হলো।

ইমরান খানের আইনজীবী ইন্তেজার হোসেইন পান্থুজা জানান, এই রায়ের মধ্য দিয়ে আইন এবং সংবিধানের মৃত্যু ঘটেছে।

২০১৭ সালে নওয়াজ শরীফকে ক্ষমতাচ্যুত করে দুর্নীতির মামলায় দন্ড দেয়া হয়। কিছুকাল জেলে কাটিয়ে তিনি ২০১৯ সালে লন্ডন চলে যান, যেখানে তিনি ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত স্বেচ্ছা নির্বাসনে ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে নওয়াজ শরীফে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে নজর দিয়েছিলেন এবং চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের মতো বিশাল উদ্যোগ গ্রহন করেছিলেন।

ভারতের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাওয়ায় নওয়াজ শরীফের সাথে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। ২০১৭ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পেছনে নওয়াজ সামরিক বাহিনীকে দায়ী করে থাকেন, এবং ইমরান খান ও সামরিক বাহিনীর মধ্যকার দ্বন্দ্বের ফলে নওয়াজ পাকিস্তানের ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য নতুন করে সুযোগ পেয়েছেন।

news24bd.tv/ab