সংসদে বিরোধী দল কারা হতে যাচ্ছে !

ফাইল ছবি

সংসদে বিরোধী দল কারা হতে যাচ্ছে !

অনলাইন ডেস্ক

আগামীকাল বুধবার ( ১০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ গ্রহণ করবেন। জাতীয় সংসদ ভবনের শপথকক্ষে চলতি একাদশ সংসদের স্পিকার নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ পাঠ করাবেন। কিন্তু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, এ সংসদে কারা হতে যাচ্ছে বিরোধী দল?

বিরোধীদল সহজেই হতে পারত জিএম কাদেরের জাতীয় পার্টি । কিন্তু এদের চেয়ে বেশি আসনে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

স্বতন্ত্ররা ৬২ টি আসনে বিজয়ী হয়েছে। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১ টি আসন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে একটি মোর্চা গঠনের গুঞ্জন রয়েছে। এ গুঞ্জন যদি সত্যি হয় তবে জাতীয় পার্টির বিরোধীদল হওয়ার সম্ভাবনা কম।
আবার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সকলেই যে এক মত ও পথের হবেন এমন নয় । ফলে বিরোধীদলে কারা থাকছেন এ নিয়ে এখনও কিছু স্পষ্ট নয়।

 বিবিসি এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে আজ মঙ্গলবার ( ৯ জানুয়ারি)। এদের প্রতিবেদনের সূত্রগুলো দেশের প্রধান দৈনিক পত্রিকাগুলোয় প্রকাশিত তথ্য।
 সংসদে বিরোধী দল কে হবে– এ প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ইতোমধ্যে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘সংসদ নেতা অর্থাৎ যিনি নতুন প্রধানমন্ত্রী হবেন, তিনিই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। ’
আবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন একটি গণমাধ্যমকে  “বিরোধী দলে জাতীয় পার্টি থাকবে। ”
বিরোধী দলের নেতা এবং উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন অনুযায়ী, ‘বিরোধী দলের নেতা অর্থ স্পিকারের বিবেচনামতে যে সংসদ-সদস্য সংসদে সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য লইয়া গঠিত ক্ষেত্রমত দল বা অধিসংঘের নেতা’।
নির্বাচনের আগে সরকারের সমালোচনায় মুখর ছিলেন জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তাঁকে বিরোধীদলীয় নেতা এবং সম্মানজনক সংখ্যক আসন নিয়ে ফের প্রধান বিরোধী দল বানানোর শর্ত পূরণের আশ্বাসে নির্বাচনে অংশ নেয় জাপা। কিন্তু তিনি এখন নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়নি বলে দাবি করছেন।  
রয়েছে আইনি জটিলতা ও বিতর্ক। কারণ অনেকে মনে করছেন, নূন্যতম ৩০ জন প্রার্থী বিজয়ী না হলে বিরোধী দল গঠন করা যায় না। আবার অনেকে মনে করছেন,   ৩০ টি আসন না পেলেও ১১ টি আসন পেলেও তারা একটি সংসদীয় গ্রুপ হতে পারে এবং বিরোধী দল হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থন নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারে।  

আবার অনেক আইন বিশেষজ্ঞও এই মতের সাথে একমত নন। তারা মনে করেন যে ১১ টি আসন পেয়ে জাতীয় পার্টি কেবল একটি সংসদীয় গ্রুপ হতে পারে। বিরোধী দলের মর্যাদা পাবে না।  

এ ক্ষেত্রে স্বতন্ত্রদের যে মোর্চার গুঞ্জন রয়েছে সেটি যদি বাস্তবে আত্মপ্রকাশ করে তবে এই মোর্চার সম্ভাবনাই বেশি। ৬২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে নিচে ৩০ জনের মধ্যে মোর্চা হলেই হবে।  
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অনেকেই আওয়ামী লীগে যোগ দিতে চান। আদর্শিকভাবেও তারা আওয়ামী লীগের পক্ষের শক্তি। যেমন, ব্যারিস্টার সুমন এবং মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন ও হবিগঞ্জের কেয়া চৌধুরী ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী বলেছেন, মোর্চা গঠনের ব্যাপারে গোপনে যোগাযোগ চলছে। দেখা যাক কি হয় ’।

আজ মঙ্গলবার ( ৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন,  স্বতন্ত্র থেকে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা আওয়ামী লীগের নয়, তারা আলাদা একটা মোর্চা করতে পারে। এজন্য সংসদ সদস্যের শপথ গ্রহণের পর সবটা পরিষ্কার হবে। তবে কত সদস্য হলে সংসদে বিরোধী দল থাকতে পারে সেটা নিয়ে সংবিধানে উল্লেখ আছে। সেটা আমি পরে জেনে যাবো বলেও জানান আনিসুল হক।

news24bd.tv/ডিডি