টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে বিজয়ী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর চার সমর্থককে গ্রেপ্তারের পর আন্দোলনের মুখে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ৩টার দিকে লতিফ সিদ্দিকীর ছোট ভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী পুলিশের সঙ্গে মধ্যস্থতা করে গ্রেপ্তার ছয় সমর্থকের মধ্যে চার জনকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনেন।
এর আগে গতরাতে কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাইয়ুম বিপ্লবের বাড়ি ভাঙচুর ও বল্লা এলাকায় অফিস ভাঙচুরের মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাসমত আলী, সমর্থক নুর, হৃদয় ও খোকাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় দুপুর ১২টার দিকে সাবেক মন্ত্রী ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ট্রাক প্রতীকে বিজয়ী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী তার সমর্থক হাসমত আলীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে নেতাকর্মীদের নিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও থানা ঘেরাও করেন।
এ সময় টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও চালকরা।দুপুর আড়াইটার দিকে সেখানে আসেন লতিফ সিদ্দিকীর ছোট ভাই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। তিনি বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে থানায় ঢুকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
এ সময় কাদের সিদ্দিকীর ছোট ভাই আজাদ সিদ্দিকীসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কালিহাতী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ফারুক বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা ছিল।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচন পরবর্তী উত্তেজনা কাম্য নয়। এখানে উভয়পক্ষের ভুল বুঝাবুঝি ছিল। ছেড়ে দেওয়া চারজনকে সন্দেহমূলকভাবে আটক করা হয়েছিল। বাকি দুইজনকে আদালতে পাঠানো হবে। তাদের আজই জামিনের ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
news24bd.tv/আইএএম