বেলকুচি-এনায়েতপুরে নির্বাচনী সহিংসতা আহত ১২

সংগৃহীত ছবি

বেলকুচি-এনায়েতপুরে নির্বাচনী সহিংসতা আহত ১২

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফলাফলের ঘোষণার পর থেকে গত দুই দিনে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের নির্বাচনী এলাকা বেলকুচি-এনায়েতপুরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ রয়েছে, নৌকার প্রার্থী আব্দুল মমিন মণ্ডলের সমর্থকরা এ হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে।

জানা যায়, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার চারচালায় পত্রিকার এজেন্ট দৌলত মণ্ডলকে এলাকা ছাড়ার হুমকি ও মারপিট করেছে নৌকার সমর্থক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী এবং তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

এ সময় দৌলত মণ্ডলের ছেলে মমিনকে মারপিট করা হয়। এ ঘটনায় দৌলত মণ্ডল বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে।  

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী বলেছেন, ভোটের দিন তারা আমার ছেলেকে মারপিট করেছে, তাই তাদের বাড়ি ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে।  

অন্যদিকে, সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজাপুর ইউনিয়নের রাজাপুর ও সমেশপুরে নৌকার সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের বেশ কয়েকজন সমর্থককে কুপিয়ে জখম করেছে।

এদের মধ্যে রাজাপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম, সমেশপুর গ্রামের হাসান আলী, নিক্সন সরকার ও হোসেন আলী গুরুতর অবস্থায় সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

এছাড়া রোববার নৌকার প্রার্থী বিজয়ী ঘোষণার পর এনায়েতপুরের খামার গ্রামের বিমল দাসসহ বেশ কয়েকটি হিন্দু বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এসব ঘটনায় বিমল দাস বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।  

একই রাতে যুবলীগ নেতা জুয়েলের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে ভাঙ্গাবাড়ি সীমান্ত মার্কেটের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ মোতালেব হোসেনকে মারধর, তার চায়ের দোকান ও বসতবাড়ি ভাঙচুর এবং বেতিলে আব্দুল্লাহ মণ্ডলের সিমেন্টের দোকান ভাঙচুর করা হয়। এ দিনে বয়োজ্যেষ্ঠ ৭ জনকে মারপিট করেছে নৌকার সমর্থকরা।

বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেন, নির্বাচনের আগে থেকেই নৌকা প্রার্থী মমিন মণ্ডল হুমকি দিয়ে আসছিলেন।

নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর সেই হুমকি বাস্তবায়ন করছেন। তার বাহিনীর হাত থেকে মুরুব্বীরাও রেহাই পায়নি।

বেলকুচি থানার ওসি মো. আনিছুর রহমান জানান, বিভিন্ন জায়গায় মারামারির খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে। ভিকটিমদের থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। যেসব ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে, সেসব ঘটনা আমরা তদন্ত করে দেখছি।

news24bd.tv/আইএএম