গাজায় নিহতের সংখ্যা মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে: অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন

ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজা নগরী।

গাজায় নিহতের সংখ্যা মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে: অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন

অনলাইন ডেস্ক

গাজায় শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুহার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। পাশাপাশি, গাজায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানোর ব্যবস্থা করার জন্য ইসরায়েলের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। খবর আল জাজিরার।

মঙ্গলবার (৯জানুয়ারি) জেরুজালেমে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্লিঙ্কেন বলেন, ৭ অক্টোবর যাতে পুনরায় না ঘটে সেজন্য ইসরায়েলের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে গাজায় আর কোনো বেসামরিক ব্যক্তি যাতে নিহত না হয় এবং সংঘাত যাতে অন্য কোথাও ছড়িয়ে না পরে সে ব্যাপারে আমাদেরকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, গাজায় যাতে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছাতে পারে সেজন্য ইসরায়েল ব্যবস্থা নিয়েছে, যার মধ্যে একটি হচ্ছে গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে কারেম আবু সালেম ক্রসিং খুলে দেওয়া।

ইসরায়েলে যাওয়ার পূর্বে ব্লিঙ্কেন তুরস্ক, গ্রীস, জর্ডান, সৌদি আরব, মিসর, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমন করেছেন। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলার জন্য ব্লিঙ্কেন এরপর পশ্চিম তীরে যাবেন।

যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ব্লিঙ্কেন বলেন, এ অঞ্চলের অনেকগুলো রাষ্ট্র একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক অঞ্চল গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। তবে যেকোনো রাজনৈতিক চুক্তির ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনের নাগরিকদের রাজনৈতিক আশা-আকাঙ্খাকে স্থান দিতে হবে।

ব্লিঙ্কেন বলেন, গাজায় যুদ্ধ শেষ হলে অনেক রাষ্ট্রই সেখানে পুনর্গঠনের জন্য বিনিয়োগ করতে রাজি হয়েছে। কিন্তু তাদের ইচ্ছা হচ্ছে ফিলিস্তিনে যাতে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে সে পথ সুগম করা।  
ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ এক সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করেছে। তবে সবাইকে এই লক্ষ্যপূরণে কাজ করে যেতে হবে। ফিলিস্তিনিদের নিজেদেরকে শাসন করার ক্ষমতা হ্রাস করে এমন যেকোনো কর্মকান্ড থেকে ইসরায়েলকে সরে আসতে হবে।

এ সময় ব্লিঙ্কেন ফিলিস্তিনিদেরকে উৎখাত করার কোনো প্রচেষ্টাকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমরা চাই যুদ্ধ শেষে সকল ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িতে ফিরে আসুক।  

ইসরায়েল কি দ্বিজাতি ভিত্তিক সমাধান মেনে নেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ব্লিঙ্কেন বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ উত্থাপিত হওয়া প্রসঙ্গে ব্লিঙ্কেন বলেন, এই অভিযোগ পুরোপুরি অযৌক্তিক এবং এতে ইসরায়েল ও ইহুদীদের প্রতি হুমকিকে খাটো করে দেখা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে হামাস যদি অস্ত্র সমর্পন করতো এবং বন্দীদেরকে মুক্তি দিতো তাহলে চলমান ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ ৮ অক্টোবরই শেষ হয়ে যেতে পারতো বলে মন্তব্য করেন ব্লিঙ্কেন। তার মতে, যুদ্ধ আগামীকালই শেষ হয়ে যাবে যদি হামাস এখনও এমন সিদ্ধান্ত নেয়।

news24bd.tv/ab