গত তিন দিন থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি পঞ্চগড়ে। হিমালয় থেকে আসা হিমবায়ু বইছে এই জেলায়। সারাদিন সাদা কুয়াশার চাদরে মোড়ানো থাকছে সবকিছু। বাতাসের সাথে টিপ টিপ শিশির ঝরছে অবিরত।
জরুরী কাজ না থাকলে কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। প্রান্তিক অঞ্চলে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের উত্তাপ নিচ্ছে অনেকে। সন্ধ্যা নামার একটু আগ থেকেই ঠান্ডার তীব্রতা বাড়তে থাকে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাতে এক-দুটো লেপ কম্বল দিয়ে ঠান্ডার মোকাবেলা করা যায়না। অন্তত ৩-৪ টি গরম কাপড় পড়তে হয়। এ অবস্থায় খেটে খাওয়া মানুষ কাজে যেতে না পারায় তাদের আয় কমে গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে ছিন্নমূল মানুষ। গরম কাপড়ের সংকট বেশ ভোগাচ্ছে তাদের। শিশু ও বয়স্করা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় বিছানা না থাকায় পেয়ে অনেকেই বারান্দা এবং মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে তীব্র শীতে গৃহপালিত পশুপাখি যেমন গরু, ছাগল, হাস, মুরগী শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মনোয়ার হোসেন জানান, বর্তমানে শীতজনিত রোগে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। হাসপাতালে সবাইকে জায়গা দেওয়া যাচ্ছেনা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান মঙ্গলবার, এই জেলায় সকাল ৯টায় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা শনাক্ত করা হয়েছে। পৌষের শেষ এবং মাঘের শুরুতেই তাপমাত্রা নিচের দিকে নামতে থাকবে। শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে এবং শৈত্য প্রবাহ আসতে পারে।
news24bd.tv/SC
