পাকিস্তানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

পাকিস্তানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হচ্ছে

পাকিস্তানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

অনলাইন ডেস্ক

পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে উদযাপন করা হয়েছে। বুধবার (১০ জানুয়ারি) ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

এ উপলক্ষে চ্যান্সারি ভবনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অপর্ণ, বাণী পাঠ, ভিডিওচিত্র প্রদর্শন, আলোচনা ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার ও হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা পর্ব শুরু হয়।  

আলোচনা পর্বে হাইকমিশনের কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।

হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

 

তিনি বলেন, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের বিজয়ের পূর্ণতা লাভ করে। বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে জাতির পিতার অবদান ছিল অতুলনীয়। ১৯৪৮ সালে মাতৃভাষার দাবিতে গঠিত সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বসহ ১৯৫২ ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালে জেনারেল আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় সবই হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও রূপকার।

এরপর জাতির পিতার আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সবশেষে ‘বিশ্বশান্তির দূত-জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।  

news24bd.tv/আইএএম