গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের ৫ কর্নেলসহ ১৩৫ কর্মকর্তা নিহত

গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের ৫২০ জন সেনা ও ৬০ জন পুলিশ নিহত। ছবি: টাইমস অব ইসরায়েল

গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের ৫ কর্নেলসহ ১৩৫ কর্মকর্তা নিহত

অনলাইন ডেস্ক

ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও অন্য কয়েকটি সংগঠনের যোদ্ধাদের হামলায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের ৫২০ জন সেনা ও ৬০ জন পুলিশ নিহত হয়েছে। ইসরায়েল সরকার এসব নিহত সেনা ও পুলিশের নাম পরিচয় প্রকাশ করেছে। দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে উঠে আসে এ তথ্য।

প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায়, গাজা থেকে চালানো অভিযানের প্রথম দিন থেকে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ইসরায়েলের ৫ কর্নেলসহ ১৩৫ সেনা কর্মকর্তা।

৭ অক্টোবর গাজার প্রতিরোধকামী যোদ্ধাদের অভিযানে ইসরায়েলের নাহাল ব্রিগেডের কমান্ডার কর্নেল জনাথন স্টেইনবার্গ নিহত হয়েছেন। ওইদিন সকালে আরো নিহত হয়েছেন ইসরায়েলের কথিত ‘ঘোস্ট ইউনিটের’ কমান্ডার কর্নেল রয় লেভি, গাজা ডিভিশনের সাউদার্ন ব্রিগেডের কমান্ডার কর্নেল আসাফ হামামি। এর মধ্যে আসাফ হামামির লাশ হামাস যোদ্ধারা গাজায় নিয়ে গেছেন।

এছাড়া গাজার শুজাইয়া এলাকায় হামাসের সাথে প্রচণ্ড যুদ্ধের সময় গোলানি ব্রিগেডের অন্যতম কমান্ডার কর্নেল ইজ্জাক বেন বাসাত এবং অন্য নয় সেনা নিহত হয়।

এর পাশাপাশি ইসরাইলের রিজার্ভ সেনা কর্মকর্তা কর্নেল লায়ন বার চলমান যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। গাজা যুদ্ধ শুরু পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলের নয় জন লেফটেন্যান্ট কর্নেল, ৩৬ জন মেজর, ৪৭ জন ক্যাপ্টেন এবং ৩৯ জন লেফটেন্যান্ট পদমর্যাদার সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের হামাস-সহ অন্য প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর হামলায় ইসরাইলের এই ব্যাপক সংখ্যক সেনাসহ এ পর্যন্ত ১২শর বেশি মানুষ মারা গেছে। এতে ইসরায়েলের ভেতরে ব্যাপকভাবে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে এবং নেতানিয়াহু সরকার প্রচণ্ড চাপের মুখে রয়েছে।

নেতানিয়াহু বারবার ইসরায়েলি জনগণকে হামাস নির্মূল করার মধ্য দিয়ে বন্দীদের জীবিত ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার ব্যক্ত করলেও যুদ্ধের তিন মাসে একজন বন্দীকেও মুক্ত করতে সক্ষম হয়নি। এ নিয়ে ইসরায়েলের ভেতরে নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবি জোরালো হয়ে উঠেছে। বিরোধীদলীয় নেতা ইয়াইর লাপিদ সরাসরি বলেছেন, এই সরকার ভেঙে দিয়ে নতুন সরকার গঠন করতে হবে যেখানে নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না।  

news24bd.tv/DHL