ঘন কুয়াশায় নষ্ট হচ্ছে বোরো ধানের বীজতলা

তীব্র শীতের কারণে বোরো মৌসুমে ধানের আবাদের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা

ঘন কুয়াশায় নষ্ট হচ্ছে বোরো ধানের বীজতলা

পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

ঘনকুয়াশা এবং তীব্র শীতের কারণে বোরো মৌসুমে ধানের আবাদের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন পঞ্চগড়ের বোরো চাষিরা। বর্তমানে চাষিরা বোরো ধানের চারা প্রস্তুত করছেন। কিন্তু ঘনকুয়াশায় বোরো ধানের চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।  

হলুদ এবং সাদা রং ধারণ করে বীজতলায় চারা বেড়ে উঠছে না।

শিশির ভেজা চারাগুলোকে তাই ঢেকে রাখতে হচ্ছে পলিথিনের আস্তরণ দিয়ে। এতে চাষিদের বাড়তি কর্ম ব্যস্ততা বেড়ে যাবার পাশাপাশি খরচও বেড়ে যাচ্ছে। চাষিরা বলছেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে বোরো আবাদে বেশ ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাদের ।

চাষিরা বলছেন, মাঘ মাসের শুরু থেকে পঞ্চগড়ে বোরো ধানের চারা রোপণ শুরু হবে।

এজন্য  চাষ দিয়ে জমি প্রস্তুত করছেন তারা। জৈব সারও দেয়া হয়ে গেছে। বোরো ধানের চারা একটু বড় হলেই শুরু হবে রোপণ কার্যক্রম। কিন্তু আবহাওয়া হঠাৎ বিরূপ হয়ে ওঠায় চাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে।

গত কয়েকদিন থেকে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। সারাদিন সূর্যের দেখা মিলছেনা। ঘনকুয়াশায় আবৃত্ত হয়ে থাকছে সবকিছু। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে ঘনকুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে বোরোর বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে পলিথিনের আস্তরণ দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কুয়াশার কারণে বোরোর চারাগুলো তাপ ধরে রাখতে না পারার কারণে হলুদ হয়ে যাচ্ছে । তাপমাত্রার কমে যাওয়ায় চারাগুলো মরেও যাচ্ছে।

সদর উপজেলার খানপাড়া এলাকার বোরো চাষি আফছার হোসেন জানান, শীতের কারণে বোরো চারা হলদে হয়ে মরে যাচ্ছে। অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে এটা হচ্ছে। তাই রাতের বেলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছি। দিনের বেলা রোদ উঠলে পলিথিনটা ফেলে দেই। কিন্তু এখন তো দিনের বেলাতেও রোদ নাই। তাই দিনের বেলাতেও অনেকসময় ঢেকে রাখতে হয়। কুয়াশার কারণে বোরো আবাদে বাড়তি ব্যায় হচ্ছে। বাড়তি সময়ও দিতে হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক বাসুদেব রায় জানান, তীব্র ঠাণ্ডার কারণে বোরো ধানের বীজ তলা হলুদ হয়ে মরে যাবার আশঙ্কা আছে। কিন্তু একটু সতর্ক হলেই এই সমস্যা মোকাবেলা করা যাবে। আমরা চাষিদের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দিচ্ছি। সেই সাথে ইউরিয়া ব্যবহার করা যেতে পারে। পঞ্চগড় জেলায় এবছর ৩৩ হাজার ৬শ ২০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১ হাজার ৫শ ৯৩ হেক্টর জমিতে বোরোর বীজতলা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এবারে ১ হাজার ৬’শ ৯ হেক্টর জমিতে বোরোর বীজতলা প্রস্তুত করা হয়েছে।

news24bd.tv/কেআই