দখল করলেই অভিযানের হুমকি মেয়র আতিকুলের

সংগৃহীত ছবি

দখল করলেই অভিযানের হুমকি মেয়র আতিকুলের

অনলাইন ডেস্ক

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, যেখানে দখল হচ্ছে, সেখানেই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ ভাঙ্গা মসজিদ সংলগ্ন স্থানে সুরের ধারা ও ডিএনসিসির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত পৌষ উৎসব-১৪৩০-এ যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

উত্তরের মেয়র সকলকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, আপনারা দেখেছেন রামচন্দ্রপুর খাল  দখল হয়ে গিয়েছিল। বছিলা ট্রাক স্ট্যান্ডে ১৭০০ ট্রাক ছিল।

এখন সেই ট্রাক স্ট্যান্ড আর নেই। লাউতলা এখন সুন্দর সবুজ পার্ক হয়ে গেছে। যেখানে দখল হচ্ছে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে। মাঠ, পার্ক ও খাল যারা অবৈধভাবে দখল করছে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মাঠ পার্ক ও খাল রেখে যেতে হবে। এটি আমাদের দায়িত্ব।

এ সময় বক্তব্য প্রদানকালে তিনি আরও বলেন, দেশের অপশক্তিকে রুখতে আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। আমাদের দেশে একদিকে যেমন গান চলে অন্যদিকে মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ভুললে চলবে না যে মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের ভূমিকা ছিল। বিশ্বে বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গানের, খেলাধুলার ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করতে গাওয়া হয়েছিল জয় বাংলা বাংলার জয়, মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি।

বাংলাদেশের ইতিহাসে পঞ্চমবারের মত প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান মেয়র। অনুষ্ঠানে মেয়রের সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন সুরের ধারার কর্ণধার রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের পাশে ডিএনসিসি সবসময় থাকবে জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, সুরের ধারার মাধ্যমে সংস্কৃতির বিকাশ ঘটবে। বন্যা আপা (রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা) শুধু ব্যক্তি নয়, তিনি ইনস্টিটিউট হিসেবে পরিচিত হয়েছেন সারা বাংলাদেশে, সারা বিশ্বে। আপনি এগিয়ে যান, আপনার সঙ্গে আমরা আছি। বিশেষ করে সাংস্কৃতিক ও বিনোদনের জন্য ডিএনসিসি সব ধরনের আর্থিক ও অনার্থিক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।

মেয়র জানান, আমরা চাই আমাদের শিশুরা গান গাইবে, খেলাধুলা করবে। পড়াশোনার পাশাপাশি নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংগীত পছন্দ করেন, যারা শিল্পী তিনি সবসময় তাদের পাশে থাকেন। আমি বিশ্বাস করি সুরের ধারার মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটবে।

বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি মেয়র আতিক আয়োজিত মেলার স্টল ঘুরে দেখেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সুরের ধারার শিক্ষকরা।

news24bd.tv/SC

এই রকম আরও টপিক