ডান্ডাবেড়ি পায়ে বাবার জানাজায় ছাত্রদল নেতা

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ডান্ডাবেড়ি অবস্থা বাবার জানাজায় ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধা

ডান্ডাবেড়ি পায়ে বাবার জানাজায় ছাত্রদল নেতা

অনলাইন ডেস্ক

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে পায়ে ডান্ডাবেড়ি অবস্থায় বাবার জানাজায় অংশ নিলেন এক ছাত্রদল নেতা। জানাজার সময় খোলা হয়নি পায়ের ডান্ডাবেড়ি।  আজ শনিবার বেলা ৩টার দিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।   

ওই ছাত্রদল নেতার নাম মো. নাজমুল মৃধা।

তিনি মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।  

উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল বাশার মোকলেছ বলেন, মো. নাজমুল মৃধা মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আছেন। আজ ডান্ডাবেড়ি অবস্থা সে তার বাবার জানাজায় অংশ নেন।

ছাত্রদল নেতা নাজমুল মৃধার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত নয়টার দিকে ছাত্রদল নেতা নাজমুল মৃধার বাবা দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. মোতালেব হোসেন মৃধা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

 আজ শনিবার দুপুর ৩টার দিকে পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

গত ২০ ডিসেম্বর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের নিজ বাড়ির সামনে থেকে পুলিশ তাঁকে আটক করে একটি বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে। বাবার জানাজায় অংশ গ্রহণের জন্য আজ শনিবার দুপুর ১টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সময় দিয়ে তাকে প্যারোলে মুক্তি দেন আদালত। জানাজা নামাজের সময় হাতকড়া খুলে দিলেও পায়ের ডান্ডাবেড়ি খুলে দেয়নি পুলিশ।  

ছাত্রদল নেতা নাজমুল মৃধার বড় ভাই মো. রাসেল মৃধা বলেন, নাজমুল মৃধা মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। গত বছরের ২০ ডিসেম্বর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী এলাকায় তাঁদের বাড়ির সামনে থেকে নাজমুল মৃধাকে আটক করে পুলিশ। পরে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। বাবার জানাজায় অংশ নিতে এবং শেষ দেখার জন্য আজ বেলা একটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেন আদালত। জানাজার সময় হাতকড়া খুলে দিলেও পায়ের ডান্ডাবেড়ি খুলে দেয়নি পুলিশ।

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ডান্ডাবেড়ি অবস্থা বাবার জানাজায় ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধা

রাসেল মৃধা আরও বলেন, আমার ভাই ছাত্রদলের রাজনীতি করার অপরাধে পায়ে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় তাঁকে বাবার জানাজায় অংশ নিতে হলো, এর চেয়ে দুঃখের, এর চেয়ে কষ্টের কী হতে পারে? ভাই আমার বাবার কবরে মাটিও দিয়ে যেতে পারল না। প্যারোলের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় শুধু ভাইয়ের জন্য ছোট পরিসরে একটি জানাজা নামাজের আয়োজন করা হয়েছিল। পরে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘পাঁচ ঘণ্টার জন্য শর্ত সাপেক্ষে ছাত্রদল নেতাকে জামিন দিয়েছেন আদালত। নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁর পায়ের ডান্ডাবেড়ি খুলে দেওয়া হয়নি। ’

news24bd.tv/aa