যে কারণে তীব্র শীত, থাকবে আরও যে কদিন

যে কারণে তীব্র শীত, থাকবে আরও যে কদিন

যে কারণে তীব্র শীত, থাকবে আরও যে কদিন

অনলাইন ডেস্ক

প্রথমে চার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। তবে সেটা এখন ১৩ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) তাপমাত্রা আরও কমে তা বিস্তৃতি লাভ করেছে। উত্তরের ঠান্ডা বাতাসের কারণে সারাদেশেই বর্তমানে তীব্র শীতের অনুভূতি হচ্ছে।

সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়া ও উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তারা আরও জানিয়েছেন, কুয়াশা আরও দু-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে শীতের তীব্রতা কমতে পারে। এরপর সপ্তাহ শেষে বৃষ্টি হতে পারে।

বৃষ্টির পর তাপমাত্রা ফের কমে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) পৌষের ২৯ তারিখ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের (৮ জেলা) ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।

শনিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দিনাজপুরে।  

আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা  বলেন, ‘কুয়াশা পরিস্থিতি আরও দু-তিন থাকতে পারে। এখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খুব বেশি কমেনি। এখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেশি কমে গেছে। তাই সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কমে গেছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে ১৫ ডিগ্রিতে এলে শীতের অনুভূতি বেড়ে যায়। এখন কোথাও সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও কম। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ১০ থেকে ১৫ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে শীতের অনুভূতি এত হতো না। ’

তিনি বলেন, ‘এছাড়া উত্তরের হিমেল হাওয়া বইছে। গতকালের চেয়ে আজ বাতাস কিছুটা কম আছে। তবে কুয়াশার কারণে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলেই রোদ না থাকায় শীতের তীব্রতা রয়েছে। আরও দু-তিন দিন পর কুয়াশার তীব্রতা করতে পারে। ’

‘আপাতত কয়েকদিন রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত বা সামান্য বাড়তে পারে। এরপর ১৬ ও ১৭ জানুয়ারির দিকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তির দিকে থাকতে পারে। তবে শীতের অনুভূতি থাকবে। এরপর ১৮ ও ১৯ তারিখের দিকে একটু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টির পর তাপমাত্রা ফের কমতে পারে। ’

‘এখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কম আছে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তুলনামূলক কিছু কিছু জায়গায় বেশিই আছে’ বলেন কাজী জেবুন্নেছা।

ঘন কুয়াশার কারণে দেশের অধিকাংশ অঞ্চলেই দিনে সেভাবে সূর্যের দেখা মিলছে না। তাই দিনের বা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অনেকটাই কমে গেছে। কোথাও কোথাও সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও কম। ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান ৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সঙ্গে উত্তর দিক থেকে বইছে হিমেল বাতাস। তাই সারাদেশেই তীব্র শীতে জবুথবু অবস্থা।

শনিবার সারাদিনই ঢাকার আকাশ কুয়াশায় ঢাকা ছিল। শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল টেকনাফে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

news24bd.tv/aa

এই রকম আরও টপিক