মাহসা আমিনির মৃত্যু নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে কারাগারে যাওয়া দুইজন নারী সাংবাদিককে মুক্তি দিয়েছে ইরান সরকার। ৩১ বছর বয়সী নিলুফার হামিদি এবং ৩৬ বছর বয়সী এলাহি মোহাম্মাদীকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয় বলে জানিয়েছে ইরানের স্থানীয় গণমাধ্যম। খবর বিবিসির।
ইরানের স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, হামিদি এবং মোহাম্মাদী তাদের ওপরে আরোপিত কারাদন্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন এবং আদালত কর্তৃক রায় ঘোষণার আগ পর্যন্ত তারা কারাগারের বাইরে থাকবেন।
ইরানের নৈতিকতা পুলিশ কর্তৃক আটকের পর বন্দী অবস্থায় মাহসা আমিনি মারা যান। মাথায় হিজাব পড়ার নিয়ম ভঙ্গ করায় তাকে আটক করা হয়েছিল।
ইরান সরকারের প্রধান চিকিৎসক আমিনির মৃত্যুর জন্য আগে থেকেই বিদ্যমান অসুস্থতাকে দায়ী করলেও জাতিসংঘের একজন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ পুলিশের পিটুনির ফলে আমিনি মারা যান বলে দাবী করেছিলেন।
শার্গ পত্রিকার সাংবাদিক হামিদি সর্বপ্রথম আমিনির মৃত্যুর খবরটি প্রকাশ করেছিলেন।
হাম-মিহান পত্রিকার সাংবাদিক মোহাম্মাদী সাকেজ শহরে আমিনির জানাজার খবর প্রকাশ করেছিলেন। তিনি হাজার হাজার শোকার্ত মানুষ কর্তৃক উচ্চারিত “নারী, জীবন, স্বাধীনতা” বাণীটিকে প্রচার করেছিলেন।
আমিনির জানাজার পরেই বিক্ষোভ ইরানজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিক্ষুব্ধ ইরানি নাগরিকেরা নারী স্বাধীনতা এবং সরকার পতনের দাবী তুলেছিলেন।
বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার কয়েকদিনের মধ্যেই হামিদি এবং মোহাম্মদীকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে হাট মিলিয়ে ইরানের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগ আনা হয়।
হামিদি এবং মোহাম্মদীকে যথাক্রমে ১৩ বছর ও ১২ বছরের জন্য কারাদন্ড দেয়া হয়।
ইরানের গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২ লাখ ডলার অর্থের বিনিময়ে হামিদি এবং মোহাম্মদী জামিন পেয়েছেন এবং তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
news24bd.tv/ab