রাজধানীতে সাংবাদিক দম্পতির বাসায় চুরি: সন্দেহভাজন রিকশাচালককে জিজ্ঞাসাবাদ

চুরির সময় সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেওয়া একটি স্টিল পিকচার

রাজধানীতে সাংবাদিক দম্পতির বাসায় চুরি: সন্দেহভাজন রিকশাচালককে জিজ্ঞাসাবাদ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ্য দিবালোকে রাজধানীর ভাটারা থানার সোলমাইদ এলাকায় সাংবাদিক দম্পতির বাসায় চুরির ঘটনায় সন্দেহভাজন রিকশাচালককে জিজ্ঞাসা করেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নতুন বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করে ভাটারা থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, তাকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত সে চুরির ব্যাপারে কিছু জানে না বলে জানিয়েছে।

তবে তাকে আরও জিজ্ঞাসা করা হবে।  

পুলিশ আরও জানায়, সন্দেহভাজন ওই রিকশাচালকের নাম ফিরোজ মল্লিক। তার বাসা নয়া বাজার এলাকায়। সে ওই এলাকার নুরু মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া।

১০ দিন ধরে সে রিকশা চালায়। এর আগে ফল বিক্রি করতো। চুরির দিন সিটিসিভি ফুটেজে যে দুজন চোরকে দেখা গেছে, তারা ফিরোজ মল্লিকের রিকশায় করে ভুক্তভোগী সাংবাদিক দম্পতির বাসায় আসে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে সে চুরির সঙ্গে জড়িত কি না তা স্বীকার করেনি।    

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর ভাটারা থানার সোলমাইদ এলাকায় সাংবাদিক দম্পতির বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। এ সময় স্বর্ণালংকার, ল্যাপটপ ও নগদ অর্থসহ প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার মালামাল খোয়া গেছে।

ভুক্তভোগী ওই দুই সাংবাদিক হলেন- নিউজ টোয়েন্টিফোরের সাব-এডিটর মরিয়ম রিমু এবং একটি জাতীয় দৈনিকের অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার (ডিডিটাল মিডিয়া) টিপু সুলতান।

ঘটনার দিন রাতেই ভুক্তভোগী সাংবাদিক টিপু সুলতান বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।  

মামলার এজাহারে বলা হয়, ভাটারা থানার সোলমাইদ এলাকার সিদ্দিকের বাড়ির নিচ তলার একটি ফ্ল্যাটে দুই বছর ধরে ভাড়া থাকেন বাদি। গত ১১ জানুয়ারি তিনি ও তার স্ত্রী দুপুর ১২টার দিকে বাসা তালাবদ্ধ করে বাইরে বের হন। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে দেখতে পান মেইন দরজার তালা নেই এবং দরজা খোলা। স্ত্রীসহ বাসার ভেতরে প্রবেশ করে বাসার রুমের তালাভাঙা এবং সবকিছু ছড়ানো ছিটানো দেখতে পান তিনি। এ সময় তার স্ত্রীর এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, একটি স্বর্ণের চেইন, নাকফুল, স্বর্ণের আংটি খোয়া যায়। যার মূল্য এক লাখ টাকার বেশি।  

এজাহারে বাদি বলেন, এছাড়া ডেল ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ, স্যামসাং নোটবুক, নগদ টাকা সেভেন জেনারেশনের কোরাই-৫ সিপিইউ খোয়া যায়।  সব মিলিয়ে আমার তিন লাখ ২৫ হাজার টাকার মালামাল খোয় যায়। তিনি ধারণা করেন, দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটে।  

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাড়ির মালিক আবু বকর সিদ্দিক নিউজ টোয়েন্টিফোরকে বলেন, ফুটেজ পেয়েছি, দুপুর তিনটার দিকের ঘটনা। এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক। জড়িদের যেকোনো মূল্যে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাটারা থানার এসআই পুলক কুমার দাস মজুমদার বলেন, তদন্ত চলছে। দ্রুতই আমরা অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।
news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক