স্কুলছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

ধর্ষণের অভিযোগে তিন তরুণকে গ্রেপ্তার

স্কুলছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

অনলাইন ডেস্ক

রাজশাহীতে অপহরণের পর এক স্কুলছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে তিন তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- রাজশাহী নগরীর মতিহার থানাধীন বুধপাড়া মহল্লার মতিউর রহমানের ছেলে আবু হুরায়রা রোহান (১৯), মনিরুল ইসলাম কেনেডির ছেলে মনোয়ার হোসেন মুন্না (২৭) ও আসাদুল ইসলামের ছেলে জুনায়েদ ইসলাম (২০)।  

এর মধ্যে রোহান ও জুনায়েদ ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

গণধর্ষণের শিকার হওয়া ওই তরুণীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

আরও পড়ুন: বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, আবাসিক হোটেল থেকে প্রেমিক আটক

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার জামিরুল ইসলাম জানান, গত ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় চন্দ্রিমা থানা এলাকার এক তরুণী রিকশায় করে বিনোদপুরে তার খালার বাড়ি যাচ্ছিলেন।  

পথে বিশ্ববিদ্যালয় বধ্যভূমির কাছে রোহান ওই তরুণীর রিকশার গতিরাধে করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অপহরণ করে।

পরে ওই তরুণীকে পার্শ্ববর্তী মটমটির বিলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে ওই তরুণীকে আটকে রেখে তার বন্ধু মুন্না ও জুনায়েদকে ফোন করে ডেকে নেন। এরপর রাতভর আটকে রেখে তিনজন মিলে তাকে গণধর্ষণ করে।

তিনি বলেন, রাতে ফোন বন্ধ পেয়ে তরুণীর পরিবার বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। খোঁজ না পেয়ে ওই রাতেই তরুণীর মা চন্দ্রিমা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

 এ ঘটনার পরদিন (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে ওই তরুণীকে ছেড়ে দিলে পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে বুধপাড়ার আরবি ফুড গ্যালারির সামনে থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ওই তরুণীর মা রাতে বাদী হয়ে মতিহার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলা পর গ্রেপ্তারের অভিযান শুরু করে পুলিশ।  

রোববার (১৪ জানুয়ারি) রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হলে পরে তিনজনের মধ্যে রোহান ও জুনায়েদ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

রাজশাহীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক পারভেজ জানান, আসামিদের মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

news24bd.tv/কেআই