বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার মামলার প্রধান আসামি পি কে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদারসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে কলকাতার নগর দায়রা আদালতে (ব্যাংকশাল) চার্জ গঠন হয়েছে। এর মাধ্যমে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলো। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।
এদিন মামলার আসামি পি কে হালদার, তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার ও আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকে স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩ বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে হাজির করা হয়।
এ বিষয়ে ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে জানান, আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করায় তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ওপর বিচার শুরু হচ্ছে।
২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটের বৈদিক ভিলেজ, বোর্ড হাউজ ১৫, গ্রিনটেক সিটি থেকে পি কে হালদারকে আটক করে ইডি। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে পি কে হালদারের আরও ৫ সহযোগীকে আটক করা হয়। পরে ২১ মে অর্থ পাচার সংক্রান্ত আইন- ২০০২ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
অন্যদিকে ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের এই মামলায় গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এ মামলার বাকি ১৩ আসামির প্রত্যেককে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে রায়ে। ওইদিন আসামিদের মধ্যে সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা, অবন্তিকা বড়াল ও শংখ বেপারীর উপস্থিতে রায় দেন বিচারক। বাকিরা ১০ জন পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন পিকে হালদার, তার মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।
news24bd.tv/আইএএম