ভুল চিকিৎসায় মা ও গর্ভের সন্তানের মৃত্যু

অভিযুক্ত হাসপাতাল

ভুল চিকিৎসায় মা ও গর্ভের সন্তানের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক

ভুল চিকিৎসার বলি হয়ে বরগুনার বামনা উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক প্রসূতি ও তাঁর গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে কোনো রকম সনদ না থাকায় গতকাল সকালে (১৬ জানুয়ারি) হাসপাতালটিকে তালাবদ্ধ করে দিয়েছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. মনিরুজ্জামান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিক হাসান। মূলত এর আগের রাতে (১৫ জানুয়ারি) ভুল অপারেশনে মর্মান্তিক এই মৃত্যুতে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ভুল চিকিৎসায় নিহত ওই প্রসূতির নাম মেঘলা আক্তার (২০)।

তিনি উপজেলার রামনা ইউনিয়নের উত্তর রামনা গ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম তারেকের স্ত্রী।

এদিকে মর্মান্তিক এই মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল বিকেলে (১৬ জানুয়ারি) প্রসূতির বাবা মোট আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এবং ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলামের মালিকানাধীন এই হাসপাতালে সোমবার বিকেলে মেঘলা আক্তারকে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসক হাসপাতালে আসতে দেরি হওয়ায় ওই হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (অ্যানেসথেসিয়া সার্জন) ডা. সবুজ কুমার দাস নিজেই অপারেশন শুরু করেন।

অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার পরপরই রোগী মারা যান।

পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজনক জানিয়ে মৃত রোগীকে নিয়ে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য মঠবাড়িয়া ইসলামিয়া হাসপাতালে যান। কিন্তু রোগী অনেক আগেই মারা যাওয়ায় ওই হাসপাতালে লাশ গ্রহণ করেনি।

পরে তাঁরা নিহতের বাবা লাশটি বাড়িতে নিয়ে যান। এই ঘটনার পর থেকে সুন্দরবন হাসপাতালের মালিক, ডাক্তার, নার্সসহ সব স্টাফ পালিয়ে যান।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার জন্য বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। তাদের ভুল চিকিৎসার কারণে প্রসূতি মেঘলা আক্তার ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। তাই আমরা সেখানে তালা লাগিয়ে দিয়েছি।

অভিযুক্ত হাসপাতালের চেয়ারম্যান এবং ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানসহ অন্য পরিচালকদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।

উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারেক হাসান বলেন, ‘আমরা হাসপাতালটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। ’