নেতানিয়াহুর বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য: জাতিসংঘ মহাসচিব

আন্তনিও গুতেরেস ও বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু

নেতানিয়াহুর বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য: জাতিসংঘ মহাসচিব

অনলাইন ডেস্ক

দুই রাষ্ট্র সমাধান প্রত্যাখ্যান এবং ফিলিস্তিনি জনগণের একটি রাষ্ট্র পাওয়ার অধিকারকে অস্বীকার করে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট জেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেওয়া বক্তব্যকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। শনিবার (২০ জানুয়ারি) উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় এক সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গুতেরেস বলেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব প্রত্যাখ্যান এ সংঘাতকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দীর্ঘায়িত করবে, যা বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে উঠেছে। এটি বিভক্তি বাড়িয়ে তুলবে এবং সর্বত্র চরমপন্থীদের উৎসাহিত করবে।

জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী ভাষণে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের জন্য দুই রাষ্ট্র সমাধান মেনে নিতে অস্বীকৃতি এবং ফিলিস্তিনি জনগণের রাষ্ট্র পাওয়ার অধিকার অস্বীকার করার বিষয়টি অগ্রহণযোগ্য।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে হতাশা ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস। রোববার তিনি বলেন, নেতানিয়াহুর বক্তব্য ‘হতাশাজনক’, যদিও এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। স্কাই নিউজ চ্যানেলকে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এমনটি শোনা সত্যিই হতাশাজনক বলে আমি মনে করি।

’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না, আমরা একটি সমাধান পেতে পারি যদি না আমাদের দুই রাষ্ট্র সমাধান থাকে। ’

দুই রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে ফ্রান্সও। এক্সে দেওয়া এক পোস্টে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফান সেজোর্ন বলেছেন, একটি রাষ্ট্র পাওয়ার অধিকার রয়েছে ফিলিস্তিনি জনগণের। এই লক্ষ্য অর্জনের অঙ্গীকারের প্রতি বিশ্বস্ত থাকবে ফ্রান্স।  

এর আগে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অবস্থানকে অবজ্ঞা করে এই প্রস্তাবে অসম্মতি জানান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকা প্রয়োজনীয়। শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে এক্সে প্রকাশিত এক বার্তায় নেতানিয়াহু জানান, জর্ডানের পশ্চিমে সমগ্র অঞ্চলে ইসরায়েল নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যা দ্বিজাতিভিত্তিক প্রস্তাবের বিপরীত।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে ফোনে কথা বলার একদিন পরেই নেতানিয়াহু তার অবস্থান পরিষ্কার করলেন।  

প্রায় এক মাস পর বাইডেন ও নেতানিয়াহুর মধ্যে ফোনে কথা হয়েছে। নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকাবস্থায় দ্বিজাতিভিত্তিক সমাধান অসম্ভব কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেছেন- ‘না, এমন নয় ব্যাপারটা’।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানায়, নেতানিয়াহু বাইডেনকে জানিয়েছেন যে, হামাসকে নির্মূল করার পর গাজায় ইসরায়েল পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে যাতে করে ফিলিস্তিন ইসরায়েলের জন্য ভবিষ্যতে কোনো হুমকি হয়ে না ওঠে।

news24bd.tv/আইএএম