২০১১ সালে নাটোরের সিংড়ায় যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তার নাম ফরহাদ হোসেন মন্ডল। হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পর ৪০ বছর বয়সী ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩।
রোববার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আরিফুর রহমান।তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত ফরহাদ ২০০১ সালে ফাতেমা বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে নগদ ১৫ হাজার টাকা শ্বশুরের কাছ থেকে নেন। পরে স্ত্রীকে আরও যৌতুকের টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দেন ফরহাদ।
শ্বশুরবাড়ি থেকে দেওয়া যৌতুকের টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় পর ফরহাদ আবারও টাকা আনতে ফাতেমাকে চাপ দেয়। কিন্তু ফাতেমার বাবা টাকা না দেওয়ায় ২০১১ সালের ৭ ডিসেম্বর রাতে ফাতেমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন ফরহাদ। এরপর ফরহাদ, তার বাবা-মা এবং বড় ভাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরদিন সকালে স্থানীয় লোকজন ফাতেমার বাবা-মাকে খবর দিলে তারা গিয়ে ফরহাদের ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় ফাতেমার গলা ও বাম চোখের ওপরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
পরে নিহতের বাবা বাদী হয়ে ফরহাদ মন্ডল, তার বড় ভাই ফজল, বাবা হামিদ আলী এবং মা ফরিদা বেগমকে আসামি করে সিংড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
র্যাব কর্মকর্তা আরিফুর রহমান আরও জানান, মামলার পর ফরহাদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর ৭/৮ মাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পেয়ে বিদেশ যায় ফরহাদ। তিন বছর ওমানে প্রবাস জীবন কাটিয়ে আবারও দেশে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। বিদেশ থেকে আসার পর দ্বিতীয় বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতে শুরু করেন। সেখানে একটি গার্মেন্টসে কাজ নেন।
১৩ বছর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত গত ১৭ জানুয়ারি ফরহাদের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন।
news24bd.tv/DHL